শিং ভাঙা পশু কোরবানি করা নিয়ে কি বলছে ইসলাম?
ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬:২৭ অপরাহ্ন, ৩০শে মে ২০২৪
আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পুরস্কার লাভের আশায় নির্ধারিত দিনে ব্যক্তির পশু জবাই করা হলো- কোরবানি। শুধু আত্মত্যাগই নয় বরং মহান আল্লাহর সঙ্গে বান্দার ভালোবাসার অনন্য এক নিদর্শনও কোরবানি। কোরআনে আল্লাহ তা’আলা নামাজের সাথে যুক্ত করে কোরবানি করার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন,
اِنَّاۤ اَعۡطَیۡنٰکَ الۡکَوۡثَرَ فَصَلِّ لِرَبِّکَ وَ انۡحَرۡ اِنَّ شَانِئَکَ هُوَ الۡاَبۡتَرُ
নিশ্চয়ই আমি তোমাকে কাওসার দান করেছি। সুতরাং তোমার রবের উদ্দেশে সালাত আদায় করো ও কোরবানি করো। নিশ্চয় তোমার প্রতি শত্রুতা পোষণকারীই নির্বংশ। (সুরা কাওসার: ১-৩)
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
কোরবানি করার জন্য সুস্থ ও ত্রুটিমুক্ত পশু নির্বাচন করা আবশ্যক। বড় ধরনের অসুস্থতা বা ত্রুটি আছে এমন পশু দিয়ে কোরবানি শুদ্ধ হয় না। হাদিসে এসেছে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম) বলেছেন,
أَرْبَعٌ لاَ تَجُوزُ فِي الأَضَاحِي الْعَوْرَاءُ بَيِّنٌ عَوَرُهَا وَالْمَرِيضَةُ بَيِّنٌ مَرَضُهَا وَالْعَرْجَاءُ بَيِّنٌ ظَلْعُهَا وَالْكَسِيرُ الَّتِي لاَ تَنْقَى
চার ধরনের পশু কোরবানি করা বৈধ নয়, (১) যে পশু একচক্ষুহীন বা কানা এবং সেটির কানা হওয়াটা স্পষ্ট (২) স্পষ্ট অসুস্থ বা রোগগ্রস্থ পশু (৩) বাহ্যত দেখা যায় এমন ল্যাংড়া পশু এবং (৪) হাঁড় বেরিয়ে গেছে এমন দুর্বল পশু। (সুনানে আবু দাউদ: ২৭৯৩)
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের সময় মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তেন
এ হাদিসের আলোকে ওলামায়ে কেরাম বলেন, যে পশুর শিঙ গোড়া থেকে ভেঙে গেছে এবং সে কারণে মস্তিস্কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ওই পশু দিয়ে কোরবানি শুদ্ধ হবে না। তবে শিং ভাঙ্গার কারণে মস্তিষ্কে যদি আঘাত না পৌঁছে, তাহলে ওই পশু দিয়ে কোরবানি জায়েজ। যে পশুর অর্ধেক শিং বা কিছু শিং ফেটে বা ভেঙ্গে গেছে বা শিং একেবারে উঠেইনি, সে পশু দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ।
এ ছাড়া নিজে হেঁটে জবাইয়ের জায়গায় যেতে পারে না এমন শুকনো দুর্বল পশু দিয়ে কোরবানি শুদ্ধ হয় না। দাঁত পড়ে যাওয়ার কারণে ঘাস চিবিয়ে খেতে পারে না এমন পশু দিয়ে কোরবানি শুদ্ধ হয় না। যে পশুর লেজ বা কোনো কান অর্ধেক বা তারও বেশি কাটা সে পশু দিয়েও কোরবানি শুদ্ধ হয় না।
জেবি/আজুবা