গুনাহের পর ক্ষমা প্রার্থনার ফজিলত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৮ পিএম, ২৫শে আগস্ট ২০২৫

শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে বান্দা যেকোনো গুনাহ করে ফেলতে পারেন। গুনাহ করার পরে যদি কেউ আক্ষেপ ও আফসোসে ভোগেন, তাহলে এই এটি তার মুমিন হওয়ারই প্রমাণ। এ ছাড়া কোনো বান্দা যদি গুনাহ করার পর তাওবা করে তাহলে মাহান আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দেন কারণ আল্লাহ তাওবাকারীকে ক্ষমা করে থাকেন।
আরও পড়ুন: মানুষ মারা গেলে কখন বুঝতে পারে সে মারা গেছে, যা বলে ইসলাম
আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন, ‘তোমরা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য গুনাহ ছেড়ে দাও। নিশ্চয়ই যারা গুনাহ করে, অচিরেই তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের বদলা দেওয়া হবে। ’ (সুরা আনআম, আয়াত : ১২০)
তিনি আরও বলেন, ‘আর আমি অবশ্যই ক্ষমাকারী তার জন্য, যে তাওবা করে, ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং হেদায়েত প্রাপ্ত হয়। ’ (সুরা ত্বাহা, আয়াত : ৮২)
হজরত আবু উমামা (রা.) বর্ণনা কেরেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ঈমান কী, হে আল্লাহর রাসুল! (অর্থাৎ আমি কীভাবে বুঝব যে, আমার মাঝে ঈমান আছে?)’ তখন রাসুলুল্লাহ (স.) বললেন, ‘যখন তোমার নেক আমল তোমাকে আনন্দিত করবে এবং তোমার গুনাহ তোমাকে কষ্টে নিপতিত করবে (গুনাহের কারণে তুমি কষ্ট পেতে থাকবে), তাহলে (বুঝবে) তুমি মুমিন।’ (মুসনাদে আহমদ: ২২১৬৬; মুসতাদরাকে হাকেম: ৩৩)
হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘মুসলিম যখন কোনো গুনাহ করে ফেলে, অতঃপর অজু করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে এবং উক্ত পাপের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, তখন আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন।’
নাবী কারিম (স.) এই প্রসঙ্গে দুটি আয়াত তেলাওয়াত করেন-
১. ‘যে ব্যক্তি কোনো মন্দ কাজ করে ফেলে বা নিজের প্রতি জুলুম করে বসে, তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, সে অবশ্যই আল্লাহকে অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালুই পাবে।’ (সুরা নিসা: ১১০)
২. ‘এবং তারা সেই সকল লোক, যারা কখনও কোনো অশ্লীল কাজ করে ফেললে বা (অন্য কোনোভাবে) নিজেদের প্রতি
আরও পড়ুন: ৬ সেপ্টেম্বর পালিত হবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী
জুলুম করলে, সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তার ফলশ্রুতিতে নিজেদের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে...’ (সুরা আলে ইমরান: ১৩৫)
(সূত্র: মুসনাদে আহমদ: ৪৭; সহিহ ইবনে হিব্বান: ৬২৩; মুসনাদে আবু ইয়ালা: ১৩)
এসডি/