চোরাই পথে গরু প্রবেশের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ অপরাহ্ন, ২রা জুন ২০২৪


চোরাই পথে গরু প্রবেশের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার
ছবি: সংগৃহীত

কোরবানী উপলক্ষ্যে সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে অবৈধভাবে কোনো গরু যেন দেশে ঢুকতে না পারে সে বিষয়টি খুব কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।


রবিবার (২ জুন) রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি সায়েন্স বিভাগ কর্তৃক বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে একথা জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ।


শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কে বি এম সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ-৫ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ ড. মো. নজরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ কৃষকলীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ।


আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের বিষয়ে তদন্ত কমিটি


মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেন, কুরবানিকে সামনে রেখে কিছু দুষ্টু ও মতলববাজ লোক আমাদের দেশীয় খামারিদের নিরুৎসাহিত করার জন্য চোরাইপথে অবৈধভাবে কিছু গরু আনছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে যথোপযোগী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হবে বলেও তিনি জানান। সুতরাং দেশীয় খামারিদের এ ব্যাপারে ভাবনার কোনো কারণ নেই। আসন্ন ঈদুল আযহা যাতে মুসলিম ধর্মাবলম্বী ভাই ও বোনেরা উৎসবের সাথে ও সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারে সে ব্যাপারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধানে থাকবে বলে জানান তিনি।


মো. আব্দুর রহমান বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অস্ট্রেলিয়া থেকে ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় আনয়নের মাধ্যমে গবাদিপশুর জাত উন্নয়নের মাধ্যমে দুধের উৎপাদন বাড়ানোর উৎদ্যোগ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু শুধু একটা স্বাধীন ভূখণ্ডই দিয়ে যান নি। বরং স্বাধীন ভূখণ্ডকে কিভাবে খাবারে, পুষ্টিতে, ভাতে, মাছে, উন্নয়নে সর্বাঙ্গীণভাবে উন্নত দেশে পরিনত করা যায়, সে ভাবনাটিও তিনি সঙ্গে সঙ্গে করেছেন। জাতির পিতার দুরদৃষ্টি, তার মানবপ্রেম, শিশুদের প্রতি তার ভালোবাসা এবং পুষ্টিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে এই জাতিকে একটি সাবলম্বী জাতি হিসেবে গড়ে তোলার যে ভাবনা তা সত্যিই আমাদের সবাইকে অবাক করে দেয়। আজকে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাবার আদর্শ বুকে ধারণ করে শত কষ্টের পাহাড় ডিঙিয়ে সব চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন।


তিনি বলেন, দুধের উৎপাদন বাড়ালে দুধ খাওয়া বাড়বে এমনটি নয় বরং দুধ খাওয়ার প্রবনতা বাড়লেই দুধের উৎপাদন বাড়বে। কারণ চাহিদা বাড়লেই সরবরাহ বাড়ানোর বিষয়টি সামনে আসে। দুধের উৎপাদন বাড়িয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে এসময় জানান মন্ত্রী।


আরও পড়ুন: নবীন সদস্যদের শৃঙ্খলার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর  


গ্রামে প্রান্তিক খামারিরা দামের অভাবে অনেক সময় দুধ উৎপাদনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দুধের দাম কম হলেও দুধ থেকে উৎপন্ন মিষ্টির দাম অনেক বেশি। দুগ্ধ শিল্পের সাথে যারা জড়িত তারা অনেক সময় ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ পাওয়া যায়। তিনি বলেন, খামারিরা যাতে তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় সেরকম একটা ব্যবস্থা আমাদের তৈরি করতে হবে। 


শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি সায়েন্স এন্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রীতে স্নাতক ডিগ্রীধারীদের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটে নিয়োগ না দেয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে গভীরভাবে পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


এমএল/