বুয়েটের সঙ্গে চাইনিজ এন্টারপ্রাইসেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:১৪ অপরাহ্ন, ৪ঠা জুন ২০২৪


বুয়েটের সঙ্গে চাইনিজ এন্টারপ্রাইসেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
ছবি: সংগৃহীত

চীন-বাংলাদেশ যৌথ শিল্প গবেষণা, প্রযুক্তিগত অধ্যয়ন ও জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এবং বুয়েট ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে দি চাইনিজ এন্টারপ্রাইসেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি) এর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (রাইজ)। 


সোমবার (৩ জুন) সন্ধ্যায় বুয়েটের ইসিই ভবনের রাইজ সেন্টার এর সেমিনার রুমে উক্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বুয়েটের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মি. ইয়াও ওয়েন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.আব্দুল জব্বার খাঁন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বুয়েট গ্র্যাজুয়েটস ক্লাবের সভাপতি ও ম্যাক্স গ্রপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মুহাম্মদ ফেরদৌস। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রাইজ-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার। 


আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ


সমঝোতা স্মারকে বুয়েটের পক্ষে রাইজ-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার ও দি চাইনিজ এন্টারপ্রাইসেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট কি চ্যাংলিয়াং স্বাক্ষর করেন।


অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের পথে বাংলাদেশ ও চীন সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বন্ধু। প্রযুক্তি থেকে স্থাপত্য, প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের পাশে ছিলো চীন। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে এই চুক্তি কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা-বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট চালু হতে পারে এবং চলতি বছরই বাংলাদেশ থেকে চীনে আম আমদানির কথাও জানান তিনি।’  


অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্যে বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘দেশের গ্র্যাজুয়েটরা কাঙ্খিত চাকরি পাচ্ছেন না। তারা বিভিনড়ব দেশে চলে যাচ্ছে। তাই এদেশে প্রযুক্তিনির্ভর আরো কর্মক্ষেত্র তৈরির আহ্বান জানান তিনি।’


আরও পড়ুন: জাবিতে ছাত্রলীগের ছাত্রীহল কমিটি গঠনে বিদ্রোহীদের বাধা


অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বে-সাইড অ্যানালাটিক্স লিমিটেডের প্রধান নিবাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. সাঈদ আহমদ, বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সেক্রেটারি জেনারেল আল মামুন মৃধা ও চাইনিজ এন্টারপ্রাইসেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট কি চ্যাংলিয়াং।


বুয়েটের ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, বিভিন্ন পরিদপ্তরের পরিচালকবৃন্দ, বুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, চীন থেকে আগত সম্মানিত অতিথি ও বিশিষ্টজনেরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


এমএল/