রবিবার ভোট: সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

ডুমুরিয়া উপজেলা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও উৎসবমুখর নির্বাচনের দিকে হাটছে


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৩০ অপরাহ্ন, ৭ই জুন ২০২৪


ডুমুরিয়া উপজেলা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও উৎসবমুখর নির্বাচনের দিকে হাটছে
ফাইল ছবি

৯ জুনের ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। রবিবার (৯ জুন) ভোট অনুষ্ঠিত হবে। চারিদিকে উৎসবের আমেজ। প্রতিদদ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের দিকে হাটছে উপজেলাবাসী।

 

খুলনা জেলা সর্ববৃহৎ উপজেলা ডুমুরিয়া। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৩ হাজার ১১৪ জন। কেন্দ্র ১০৮ টি। বুথের সংখ্যা ৭৪২। তবে নির্বাচন ঘিরে এখনও কোন অপ্রিতিকর ঘটনা শোনা যায়নি। ইতোমধ্যে প্রশাসনের তরফ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ৬ষ্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সকহারী রির্টানিং অফিসার এবং ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল আমিন। 


তিনি বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ এবং উৎসব মুখর নির্বাচনে বদ্ধ পরিকর নির্বাচন কমিশন ও ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসন। সারা দেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ডুমুরিয়ায় সকল কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে উপজেলা প্রশাসন ইতোপূর্বে মাঠে অনেক কাজ করেছে এখনও করছে এবং ভোটের মাঠে স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: চতুর্থ ধাপে ভোট পড়েছে ৩৪.৩৩ শতাংশ


এদিকে শনিবার (৮ জুন) সকাল ৮ টায় প্রচারনা শেষ হবে। তাই শেষ মুহুর্তে প্রত্যেক প্রার্থী সকল প্রকার প্রচারনা চালাচ্ছেন। তবে রেমাল ঘুর্নিঝড়ে নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় ভোটের হিসেবে নিকেশ লন্ড-ভন্ড হয়ে গেছে। অনেক প্রার্থীর কপালে পড়েছে চিন্তার ভাজ। অনেকে সুবিধাজনক অবস্থা ফিরে পাওয়ায় মুচকি হাসছেন।

 

অধিকাংশের মতে গেল ২৯ মে নির্বাচন হলে সবচেয়ে সুবিধায় ছিলেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী এড. মিনমুর রহমান নয়ন। তবে পিছিয়ে যাওয়ার সুবিধা কাজে লাগাচ্ছেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী গাজী এজাজ আহমেদ। বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষনা দিলেও সিংহভাগ নেতাকর্মী নয়নের পক্ষে কাজ করছিলেন। তবে বুধবার (৫ জুন) যুবদল নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য লিফলেট বিতরণ, মিছিল এবং পথ সভা করায় অনেক বিএনপি নেতা-কর্মী ও সমর্থক বেকায়দায় পড়েছেন। শেষ মুহুর্তে অনেকে কঠোর অবস্থান থেকে ফিরে এসেছেন। ফলে ভোটের মাঠে আনারস প্রতীকের ওপর এর প্রভাব পড়ছে বলে কেউ কেউ মত দিচ্ছেন। তবে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ও তার অভিবাবকরা এসবকে পাত্তাই দিচ্ছেন না। তাদের মতে নির্বাচন ফিছিয়ে যেয়ে তারা আরও বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। এদিকে রংপুরসহ বেশ কয়েক জায়গায় আজগর বিশ্বাস তারার মটর সাইকেলের অবস্থা নির্বাচনের শুরুতে বেশ ভাল ছিল।


ইতোমধ্যে রংপুরে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে মাঠে কাজ করছে। তাছাড়া বিভিন্ন এলাকায় চাকরীজীবিরা বাড়িতে এসে ঘোড়ার পক্ষে কাজ করছেন। ফলে দিন যতই যাচ্ছে ততই মটরসাইকেলের ভোটের ওপর প্রভাব পড়ছে। এদিকে নির্বাচনের শুরুতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শারমীনা পারভীন রুমার কলস প্রতীক বেশ শক্ত অবস্থানে ছিল। কিন্তু নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় শিলা মন্ডলের ফুটবল প্রতীকের অবস্থা বেশ জোরালো হয়েছে।


আরও পড়ুন: চতুর্থ ধাপের ভোট গ্রহণ শেষ, গণনা চলছে 


এবারের নির্বাচনে কলস প্রতীকের প্রার্থীর বাবা, কাকা, আম্মাসহ পরিবারের সকল সদস্যকে ভোটের মাঠে দেখা যাচ্ছে। ইতোপূর্বে ডুমুরিয়ার মানুষ এমনটি কখনও দেখেনি। তবে ছোট চাচা শাহাজান জমাদ্দার তার শ্যালক নয়নের পক্ষে কাজ করায় কলসের ওপর এর প্রভাব পড়ছে। ফলে কলস ও ফুটবল প্রতীকের মধ্যে বেশ লড়াই হবে বলে অনেকের ধারণা।


অপরদিকে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ৪ প্রার্থীর মধ্যে ভোট পিছিয়ে যাওয়ায় গাজী আব্দুল হালিম এর টিয়া পাখি এবং প্রভাষক গোবিন্দ ঘোষের তালা প্রতীকের সাথে লড়াই বেশ জমে উঠেছে। সমান তালে গনসংযোগে রয়েছেন শেখ শাহীনুর রহমান শাহীনের চশমা ও অভিজিৎ রায় অভির টিউবওয়েল প্রতীক। সব মিলিয়ে একটি প্রতিদন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের দিকে হাটছে ডুমুরিয়ার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। 


এমএল/