ঈদুল আজহা: আগেভাগেই গুছিয়ে নিতে পারেন যেসব কাজ


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫:০৫ অপরাহ্ন, ৮ই জুন ২০২৪


ঈদুল আজহা: আগেভাগেই গুছিয়ে নিতে পারেন যেসব কাজ
ছবি: সংগৃহীত

সামনে আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহাকে ঘিরে রয়েছে গৃহিণীদের নানা কাজ। তাই ঈদের আগেই গুছিয়ে নিতে হবে অতিরিক্ত কাজগুলো। ঈদের দিনের কাজগুলো যদি আগেভাগে কিছুটা কমিয়ে ফেলা যায়, সেদিনটা একটু হালকা থাকা যায়। গুছিয়ে কাজগুলো করতে পারলে অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।


কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি গুছিয়ে রাখুন:


ঈদুল আজহা মানেই হল পশু কোরবানি দেওয়া। মহান আল্লাহকে খুশি করতেই সবাই সবার সাধ্যমতো কোরবানি দিয়ে থাকে। আর তাই কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রগুলো যেমন, ছুরি, বটি ইত্যাদি পুরোনো কিছু থেকে থাকলে আগেই করে ফেলুন ধারালো। এর পর পানি গরম করে সেই যন্ত্রপাতি গুলো ১-২ মিনিট ভিজিয়ে রেখে দিন। এর ভিতরে থাকা জীবাণু সব ভালো ভাবে পরিষ্কার হয়ে যাবে।আর যাদের বাসায় যন্ত্রপাতি নেই তারা আগেই কিনে সংরক্ষণ করুন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। 


আরও পড়ুন: আম খাওয়ার পর যে ৫ খাবার খেলে হতে পারে মারাত্নক বিপদ


রান্নার জন্য মশলা প্রস্তুত করে রাখুন:


যেহেতু ঈদ সেহেতু সবার বাসায়ই রান্না হবে গরুর মাংস সহ নানান পদের বাহারি খাবার। তাই প্রয়োজনীয় সব মসলা যেমন,আদা বাটা,রসুন বাটা,জিরা বাটা থেকে শুরু করে গুরা মসলা হলুদ, মরিচ ধনে গরম মসলাসহ সব মসলা আগে থেকেই সংরক্ষণ করে রাখুন। এক্ষেত্রে বাটা মসলা গুলো বেটে বক্স করে বা জিপলক ব্যাগে করে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন।আর গুড়ো মসলাগুলো সংরক্ষণ করুন কৌটায়।


পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন:


কোরবানির পরে ভালো করে ফ্লোর যেখানে মাংস রাখা হবে বা কাটা-কাটি হবে সেখানে পরিষ্কার করে ফেলুন। মেঝে পরিষ্কার করতে গরম পানি, জীবাণুনাশক এবং ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করলে ভালো ভাবে পরিষ্কার করা সম্ভব। পশুর রক্তসহ বর্জ্য ময়লাগুলো মাটিতে গর্ত করে ফেলতে হবে। যেখানে সেখানে ফেললে ডেঙ্গুর উৎপত্তি বাড়বে।


ঈদের বাজার:


ঈদের বাজার বলতে বুঝায় সেমাই, চিনি, মশলা, সুগন্ধি চাল, ঘি, তেল ইত্যাদি কেনা। তাই সেমাই থেকে শুরু করে রান্নার সব সামগ্রী এখনই কিনে ফেলুন এই বাজারসমূহ। এতে সময়ের অপচয় কম হবে।


আরও পড়ুন: গাড়িতে উঠলেই বমি, বাঁচতে চাইলে...


মাংস আলাদা করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে রাখুন: 


কোরবানির মাংস কেটে আনার পর আলাদা করে ব্যাগে ভরে ভাগ করে রাখুন। যেমন- সিনার মাংস, কলিজা, ভুঁড়ি, পায়ের মাংস, মগজ, ইত্যাদি আলাদা ভাবে ভাগ করে ফেলতে হবে। গরুর কলিজা ও মগজ ফ্রিজে না রেখে বরং ঈদের দিনই রান্না করে খেয়ে ফেলুন।


ফুড গ্রেডের প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে মাংস রাখাই ভালো। এই ব্যাগ গুলো আগেই কিনে রেখে দিন। আর মাংস ফ্রিজে রাখার আগে ভালো মতন ধুয়ে পরে রাখবেন। মাংস সব ছোট ছোট প্যাকেট করে রাখবেন।


সবচেয়ে ভালো হয় যদি কোন প্যাকেটে কোন মাংস আছে সেটি লিখে রাখা যায়। তাহলে বুঝতে সহজ হবে কোন প্যাকেটে কোন মাংস রাখা আছে। কিন্তু ৪ মাসের বেশি কোরবানির মাংস ফ্রিজে না রাখাই ভালো। কেননা এতে মাংসের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।


 জেবি/আজুবা