রাজশাহীতে শব্দদূষণের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি ও নিয়ন্ত্রণে করণীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৬ অপরাহ্ন, ৯ই জুন ২০২৪
পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আয়োজনে এবং রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় শব্দদূষণের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি ও নিয়ন্ত্রণে করণীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৯ জুন) সকাল ১১টার দিকে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর।
বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ‘শব্দদূষণের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি এবং নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ এ সংক্রান্ত একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের ট্রেনিং অ্যান্ড ক্যাম্পেইন কনসালটেন্ট গাজী মহিবুর রহমান।
উপস্থাপিত প্রেজেন্টেশনে রাজশাহী বিভাগের এবং রাজশাহী শহরের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন শব্দের মানমাত্রা কোন এলাকায় কত তা উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: পাবনায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান তিনটি ইটভাটায় জরিমানা ড্রাম চিমনী ধ্বংস
যার আলোকে রাজশাহী বিভাগ তথা রাজশাহী শহরে শব্দদূষনের মাত্রা কিভাবে কমিয়ে আনা যায় তার উপর গুরুত্বারোপ করে আলোচনায় অংশ নেন ট্রাফিক বিভাগের এডিসি হেলেনা আক্তার , ইসলামিক ফাউন্ডেশনের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক মো. আনিসুজ্জামান সিকদার, নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আসাদুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রতিনিধি ডিসি(সিটিটিসি) সরকার ওমর ফারুক, রাজশাহী ডিআইজি অফিসের পুলিশ সুপার (অপারেশন) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক পারভেজ রায়হান প্রমুখ।
পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মাহমুদা খানমের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন তরফদার মো. আক্তার জামীল, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) রাজশাহী।
আরও পড়ুন: শব্দ দূষণে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, গ্রীন সিটি এবং ক্লিন সিটি হিসেবে রাজশাহীর যে সুনাম দেশব্যাপী আছে একইসাথে রাজশাহীকে কিভাবে শব্দদূষণমুক্ত সিটিতে পরিণত করা যায় সে লক্ষ্যে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে এবং শব্দদূষণের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে হবে।
জেবি/এসবি