কোরবানি পশু চুরি বা মারা যাওয়া নিয়ে যা বলছে ইসলাম


Janobani

ইসলাম ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪:৪০ অপরাহ্ন, ৯ই জুন ২০২৪


কোরবানি পশু চুরি বা মারা যাওয়া নিয়ে যা বলছে ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

কোরবানি করার মূল উদ্দেশ্য মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পুরস্কার লাভ সেই আশায় নির্ধারিত দিনে ব্যক্তির পশু জবাই করা। শুধু আত্মত্যাগই নয় বরং মহান আল্লাহর সঙ্গে বান্দার ভালোবাসার অনন্য এক নিদর্শনও কোরবানি। তবে কুরবানির পশু কেনার পর যদি তা চুরি হয়ে যায়, হারিয়ে যায় বা মারা যায়, তাহলে করণীয় কী?


এ সম্পর্কে ইসলাম বলে কুরবানির পশু যদি মারা যায় বা চুরি হয়ে যায় আর কুরবানিদাতার ওপর পূর্ব থেকে কুরবানি ওয়াজিব থাকে তাহলে আরেকটি পশু কুরবানি করতে হবে। তবে যার ওপর কুরবানি ওয়াজিব নয় তার জন্য নতুন আরেকটি পশু কুরবানি করাও ওয়াজিব নয়। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৯)


আরও পড়ুন: শিং ভাঙা পশু কোরবানি করা নিয়ে কি বলছে ইসলাম?


তামিম ইবনে হুয়াইয়িজ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমার কোরবানির পশু জবাই করার আগেই হারিয়ে গেল। এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে আমি ইবনে আব্বাস (রা.)-এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বললেন, কোনো অসুবিধা নেই।’


যার জন্য কুরবানি ওয়াজিব


স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন, প্রাপ্তবয়স্ক, মুসলিম যদি ‘নিসাব’ পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকেন, তাঁদের পক্ষ থেকে একটি কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব বা আবশ্যক। নিসাব হলো সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা এর সমমূল্যের নগদ টাকা ও ব্যবসার পণ্য বা সম্পদ। 


আরও পড়ুন: ঈদের নামাজের আগে কোরবানি দেয়া যাবে কি?


পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর কাছে পৌঁছে না এগুলোর (কুরবানির পশু) গোশত ও রক্ত, বরং তাঁর কাছে পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি সেসবকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর তাকবীর পাঠ করতে পারো, এ জন্য যে তিনি তোমাদের হেদায়াত দান করেছেন, সুতরাং তুমি সৎকর্মশীলদেরকে সুসংবাদ দাও। (সুরা হজ, আয়াত ৩৭)


জেবি/আজুবা