কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১০ অপরাহ্ন, ১১ই জুন ২০২৪
কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পের দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) রাজধানীর আ কা মু গিয়াস উদ্দিন মিলকী অডিটোরিয়ামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় জাতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. জয়নাল আবেদীন, পরিচালক (প্রকল্প বাস্তবায়ন উইং) মো. রেজাউল করিম, পরিচালক (সরেজমিন উইং) মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মো. খোরশেদ আলম।
কর্মশালায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ বণি আমিন।
কর্মশালায় জানানো হয়, দেশের ৪৯ জেলার ১৫৫ উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১৪৮ কোটি ৮০ লাখ ৭২ হাজার টাকা। ২০২৭ সালের মধ্যে লিড এজেন্সি হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সহযোগী সংস্থা হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান)।
আরও পড়ুন: বারিতে অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত
প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপনায় বলা হয়েছে, বিদ্যমান শস্য বিন্যাস পরিবর্তন ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষির উৎপাদনশীলতা বর্তমান অবস্থা থেকে ৮-১০ শতাংশ বৃদ্ধি করা। পুষ্টি সমৃদ্ধ ফসল চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১৭ হাজার ১৫৩টি বিভিন্ন ফসলের প্রদর্শনী স্থাপন। বিদ্যালয় আঙ্গিনায় ১ হাজার ৭০৫টি ফল-সবজি বাগান সৃজন এবং ১৫৫টি পুষ্টি সমৃদ্ধ নিরাপদ ফসল গ্রাম সৃজনের মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জন।কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় প্রায় ৩ লাখ ৮ হাজার ৬১৮টি কৃষক পরিবার পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন এবং ৮৮ হাজার ২০ জন কৃষক-কৃষাণির আয়বর্ধক কাজে সম্পৃক্তকরণ এবং বারটানের আঞ্চলিক কার্যালয়ে ৭টি মিনি নিউট্রিশন ল্যাব স্থাপনসহ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি। ৭ হাজার ৬৬৬ ব্যাচ প্রশিক্ষণ ও উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণের মাধ্যমে কৃষাণ-কৃষাণী, কমকর্তা-কর্মচারী ও সুবিধাভোগি জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ কৃষি, পুষ্টি ও আয়বর্ধক কার্যক্রম সম্পর্কে দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে।
আরও পড়ুন: শেষ হলো জাতীয় ফল মেলা
এ প্রকল্প মাধ্যমে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা, পুষ্টি সমৃদ্ধ ফসল চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রদর্শনী স্থাপন, জিংক সমৃদ্ধ ধান চাষ, পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদারকরণ ও ভার্মিকম্পোট উৎপাদনের উপর আলোকপাত করা হয়।
জেবি/এসবি