ভিসা পেয়েও হজে যেতে পারেননি ৫১ জন


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৫৯ অপরাহ্ন, ১৩ই জুন ২০২৪


ভিসা পেয়েও হজে যেতে পারেননি ৫১ জন
ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে চলতি বছরের হজের শেষ ফ্লাইট ছেড়ে গেছে বুধবার (১২ জুন)। পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে মোট ৮৫ হাজার ১২৯ জন সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। তবে ভিসা পাওয়ার পরও এবার ৫১ জন হজে যেতে পারেননি। তাদের মধ্যে সরকারি মাধ্যমে তিনজন, বেসরকারি মাধ্যমের ৪৮ জন রয়েছেন।


বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।


আরও পড়ুন: এবার হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু শুক্রবার


৫১ জন কেন হজে যেতে পারেননি এর সুস্পষ্ট কারণ এখনও জানা যায়নি। এবার সরকারি মাধ্যমে হজে গেছেন চার হাজার ৪৮২ জন এবং বেসরকারি মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৩০ জন।


ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের হজযাত্রীরা ২১৭টি ফ্লাইটে সৌদি আরবে গিয়েছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ১০৫টি, সৌদি এয়ারলাইনস ৭৫টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ৩৭টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।


এদিকে, চলতি বছর হজ করতে গিয়ে আরও দুই বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ বছর ১৭ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন।


সবশেষ বুধবার মারা যাওয়া দুজনের নাম মো. শাহ আলম (৭৭) ও সুফিয়া খাতুন (৬২) বলে জানা গেছে। তাদের বাড়ি কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ জেলায়। মারা যাওয়া ১৭ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও দুইজন নারী।


এর আগে গত ১০ জুনও একদিনে গোলাম কুদ্দুস (৫৪) ও শাহাজুদ আলী (৫৫) নামে দুইজন হজযাত্রী মারা গেছেন। তাদের দুজনের বাড়িই রংপুর জেলায়। এর মধ্যে গোলাম কুদ্দুস তারাগঞ্জ ও শাহাজুদ আলী পীরগঞ্জের বাসিন্দা।


আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের জন্য হিট অ্যালার্ট জারি সৌদির


এ বছর হজ পালনে গিয়ে মারা যাওয়া অপর হজযাত্রীরা হলেন নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান (৫৭), ভোলা জেলার মো. মোস্তফা (৯০), কুড়িগ্রাম জেলার মো. লুৎফর রহমান (৬৫), ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের মো. মুরতাজুর রহমান (৬৩), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৪), ঢাকা জেলার কদমতলির মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৮), কুমিল্লা জেলার মো. আলী ইমাম ভুঁইয়া (৬৫), কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মো. জামাল উদ্দিন (৬৯), কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার মোহাম্মদ নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার মাকসুদ আহমদ (৬১), ফরিদপুর জেলার নগরকান্দার মমতাজ বেগম (৬৩), ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (৫৭) ও গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মো. সোলাইমান (৭৩)।


জেবি/এজে