চাপহীন পাটুরিয়া, ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছে যাত্রীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২২ অপরাহ্ন, ১৪ই জুন ২০২৪

আপনজনদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট হয়ে গ্রামে ফিরছে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের হাজারো ঘরমুখো মানুষ। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি, যাত্রীবাহী লঞ্চ ও মহাসড়কে যানজট না থাকায় সহজেই ঘাট পার হতে পারছেন এসব যাত্রীরা।
শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ এসব তথ্য নিশ্চিৎ করেছেন।
রাজধানী ঢাকার সাথে যোগযোগের অন্যতম মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলদিয়া নৌপথ। বছরে দুটি ঈদসহ যেকোনো উৎসবের সময় এই ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি আর যাত্রীদের ভোগান্তি ছিল নিত্যদিনের। প্রায় দুই বছর আগে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অনেকটাই কমে গেছে এই রুটে। ফলে ভোগান্তি ছাড়াই ফেরিতে পদ্মা পারাপার হচ্ছে এই রুটে চলাচলরত যানবাহন।
আরও পড়ুন: আজ মিলছে ২৪ জুনের ফিরতি টিকিট
ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে শুক্রবার সকাল থেকেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথ হয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ। তবে ঘাট এলাকায় যানবাহনের তেমন চাপ না থাকায় ভোগান্তি ছাড়াই ফেরি ও লঞ্চে করে নদী পার হতে পারছেন তারা। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে পদ্মা নদী পারাপারে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ছোট বড় মিলে ১৭টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে চলাচল করছে।
অন্যদিকে যাত্রীদের পারাপারে ৩৩টি লঞ্চের মধ্যে পাটুরিয়ায় চলাচল করছে ১৯টি লঞ্চ আর আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে চলছে ১৪টি। রাজধানী ঢাকা, আশুলিয়া, সাভার নবীনগরসহ আশপাশের যাত্রীরা বাসে করে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে আসছেন। এরপর লঞ্চে ও ফেরির টিকিট কেটে নদী পার হচ্ছেন। তবে ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের তেমন চাপ না থাকায় স্বস্তিতেই নদী পার হয়ে গন্তব্যে চলে যাচ্ছে তারা।
সাভার থেকে বাসে যোগে পাটুরিয়া ঘাটে এসেছেন রাজু আহমেদ। তিনি জানান, সাভার থেকে সেলফি পরিবহনে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সহসাই ঘাটে পৌঁছেছেন। মহাসড়কে যানজট না থাকায় বাসে কোনো প্রকার ভোগান্তি হয়নি। আর ঘাটেও যানবাহন ও যাত্রী কম, তাই নদী পার হতে কোনো ধরনের ভোগান্তি হবে না।
আরও পড়ুন: ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি চরমে
রাসেল নামে আরেক যাত্রী জানান, দুই বছর আগেও পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা নদী পার হওয়ার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু এখন আর সেই চিত্র নেই, ঘাটে আসার পরপরই ফেরিতে বা লঞ্চে উঠতে পারছি। ঘাট পার হতে এখন আর কোনো প্রকার ভোগান্তিতে পড়তে হয় না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, ঈদযাত্রায় ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রীদের নিরাপদে নদী পারাপার করার জন্য ঘাট কর্তৃপক্ষ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নৌবহরে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় কোনো যাত্রী ও যানবাহনকে দীর্ঘ সময় ঘাট এলাকায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। যাত্রী ও যানবাহনগুলো ঘাটে আসার পর পরই ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। যার ফলে ভোগান্তি ছাড়াই পরিবার পরিজনের কাছে ফিরছে মানুষ।
এমএল/
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

রোহিঙ্গারা আগামী ঈদ মিয়ানমারে করতে পারেন সেই চেষ্টা চলছে: ড. ইউনূস

সংস্কার ছোট পরিসরে হলে নির্বাচন ডিসেম্বরে, বৃহত্তর হলে জুনে

আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, আমাদের সমুদ্র আছে: ড. ইউনূস

রোহিঙ্গারা বাড়ি ফিরতে চায়, সংকটের প্রধান সমাধান প্রত্যাবাসন
