শনি-রবিবার যেসব এলাকায় ব্যাংক খোলা থাকবে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৯ অপরাহ্ন, ১৫ই জুন ২০২৪
ঈদুল আজহার আগে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির মধ্যেও তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন-বোনাসসহ কোরবানির পশু বেচা-কেনার সুবির্ধাতে সীমিত পরিসরে তফসিলি ব্যাংকের শাখা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব শাখায় রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর দুই সিটিসহ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং পশুর হাট সংলগ্ন ব্যাংকের শাখা ও উপশাখা খোলা রাখতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব শাখায় ব্যাংকিং কার্যক্রম রাত ১০টা পর্যন্ত পরিচালনা করতে বলা হয়েছে। শনিবার ও রবিবার (১৫ ও ১৬ জুন) সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নির্ধারিত এলাকায় হাট সংলগ্ন ব্যাংকের শাখা ও উপশাখা খোলা থাকবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকের যেসব শাখা শনি ও রবিবার খোলা
এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং নাটোরের সিংড়া পৌরসভার তত্ত্বাবধানে ও ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত কোরবানির পশুর হাটগুলোতে অধিক সংখ্যক ব্যবসায়ীর সমাগম ঘটে এবং বিপুল পরিমাণ নগদ টাকার লেনদেন হয়ে থাকে। ফলে হাটগুলোতে আর্থিক লেনদেনের নিরাপত্তার বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
কোরবানির পশুর হাটগুলোর নিকট দূরত্বেই বিভিন্ন ব্যাংক শাখা বা উপশাখা তাদের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। হাটগুলোর নিকটবর্তী এসব ব্যাংক শাখা বা উপশাখা ব্যবহার করে কোরবানির পশু ব্যবসায়ীরা তাদের পশু বিক্রির টাকা লেনদেনে ব্যাংকের সহায়তা নিতে পারেন। তাছাড়া পশুর হাটে ব্যাংকের অস্থায়ী বুথ খোলা হলে পশু ব্যবসায়ীরা অর্থ লেনদেনে উক্ত বুথের সহায়তা নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: পূর্বনির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে এনআরবিসি ব্যাংকের এজিএম
এ পরিস্থিতিতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরী এবং নাটোরের সিংড়া পৌরসভার পশুর হাটগুলোর নিকটবর্তী ব্যাংকের শাখা বা উপশাখাগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থায় শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত রাত ১০টা পর্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে। আর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কোরবানির পশুর হাটে অস্থায়ী বুথ স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা, উপশাখা ও বুথগুলোতে অতিরিক্ত সময়ে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিশেষ ভাতা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এমএল/