নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত, ভাঙনের মুখে কমিউনিটি ক্লিনিক-আশ্রয়কেন্দ্র-স্কুল


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:৩২ অপরাহ্ন, ২২শে জুন ২০২৪


নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত, ভাঙনের মুখে কমিউনিটি ক্লিনিক-আশ্রয়কেন্দ্র-স্কুল
ছবি: সংগৃহীত

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বর্ষণে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে কুড়িগ্রামের আরও কয়েকটি এলাকা। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্রসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় চর-দ্বীপচরগুলোর এসব এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ২২ হাজার মানুষ। পানি বাড়ার কারণে উলিপুরের বেগমগঞ্জে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, আশ্রয়কেন্দ্র, সরকারি স্কুল, রাজারহাটের বিদ্যানন্দে একটি মসজিদ, বসতভিটা ও বাজার ভাঙন হুমকিতে রয়েছে। 


শনিবার (২২ জুন) সকালে জেলার সদর, রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলার একাধিক বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বাড়ি-ঘরের চারপাশে বন্যার পানি প্রবেশ করায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে ব্যবহার করছেন কলাগাছ ও বাঁশের তৈরি ভেলা। গবাদি পশুর খাদ্য সংকট পৌঁছেছে চরমে। রান্না ঘর ও টিউবওয়েল পানির নিচে থাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট প্রকট হচ্ছে।


আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ধরলা ও তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চর বালাডোবার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম জানান, তিন দিন ধরে বাড়ির চারপাশে পানি। খাওয়ার খুব কষ্ট হচ্ছে পরিবারের সবার। বিছানাপত্র সব নষ্ট হচ্ছে। কেউ এখন পর্যন্ত খোঁজ নেয়নি। এই চরের আরেক বাসিন্দা রঙমালা বেগম জানান, বাড়িঘর সব পানিতে তলিয়ে গেছে। খাবার নেই ঘরে। কোনো সহায়তা না পাওয়ায় অসহায় অবস্থায় রয়েছেন তারা।


বেগমগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া বলেন,তার ইউনিয়নের ১০ থেকে ১২টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। লোকজনের তালিকা করা হচ্ছে। ত্রান সামগ্রী দ্রুত বিতরণ করা হবে। শনিবার (২২জুন) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র দেওয়া তথ্য হতে জানা যায়, গত ১২ ঘন্টায় তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৪৪ সে.মি.ও ধরলা নদীর পানি তালুক শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ৭ সে.মি. বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


আরও পড়ুন: নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন বাউবোর অতিরিক্ত মহাপরিচালক


জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান,বন্যার্তদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ শুরু হয়েছে। নতুন করে ১০ লাখ টাকা, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৫০০ টন চাল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। দুর্গম এলাকাগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


এমএল/