কুড়িগ্রামে ধরলা ও তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:২০ অপরাহ্ন, ২১শে জুন ২০২৪


কুড়িগ্রামে ধরলা ও তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ছবি: সংগৃহীত

উজান থেকে নেমে আসা ঢল আর টানা বৃষ্টিতে কুড়িগ্রাম জেলার প্রধান দুই নদী ধরলা ও তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপর দুই নদী দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের পানিও হু হু করে বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় জেলার অনেক জায়গায় নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে, শত শত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বড় ধরনের বন্যার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।


শুক্রবার (২১ জুন) সকালে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 


নদ-নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। প্লাবিত হয়েছে গ্রামীন কাঁচা-পাকা সড়ক। নিম্নাঞ্চলের বসতভিটায় পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন। এছাড়াও তলিয়ে গেছে মৌসুমী ফসলের ক্ষেত।


আরও পড়ুন: নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন এমপি হামিদুল হক


ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও তা এখনও বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের ভেলুর বাজার এলাকার এক কৃষক বলেন, হঠাৎ ধরলা নদীর পানি বাড়ার কারণে আমার এলাকার সব শাক-সবজির খেত তলিয়ে গেছে। আমার ২ বিঘা জমির পটল তলিয়ে গেছে। পানিটা আর কয়েকদিন পরে এলে আরও অনেক টাকার পটল বিক্রি করতে পারতাম। এখন গাছগুলোর সব মরে যাবে। 


কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র থেকে জানাযায়, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে জেলায় ৪৫৩ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল প্লাবিত হয়েছে।


জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বন্যা মোকাবিলায় ১৩ লাখ টাকা, চাল ১৩ মেট্রিকটন, ঢেউটিন ২৫০ বান্ডিল, নৌকা ও আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও যদি কোনো প্রয়োজন হয় তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।


আরও পড়ুন: তিস্তায় নৌকাডুবিতে শিশুর লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ৮  


কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


এমএল/