এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ডিএমপির ১৯ নির্দেশনা


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:২০ অপরাহ্ন, ২৭শে জুন ২০২৪


এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ডিএমপির ১৯ নির্দেশনা
ফাইল ছবি

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৩০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে। এ উপলক্ষে পরীক্ষার্থীদের জন্য ১৯ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।


বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস কনফারেন্সে এসব নির্দেশনা দেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মো. মুনিবুর রহমান।


মুনিবুর রহমান বলেন, “আগামী ৩০ জুন এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। প্রতিটি কেন্দ্রের রোড ভিত্তিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীরা যেন সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেন, সেজন্য রাস্তায় তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’


তিনি আরও বললেন, “ঢাকা মহানগরে এইচএসসি পরীক্ষার ৮০টি কেন্দ্র আছে। পরীক্ষার কেন্দ্রমুখী যেসব রাস্তা রয়েছে সেখানে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকবে। পরীক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেন সেই প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের। এ ছাড়া প্রধান সড়কগুলোয় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে দেওয়া হবে না।”


এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “যেখানে পরীক্ষাকেন্দ্র বেশি সেখানে কুইক রেসপন্স টিম বেশি থাকবে। কুইক রেসপন্স টিম বিভিন্ন রাস্তায় থাকবে। যদি কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি করে অথবা বিপদে পড়ে, সেখানে কুইক রেসপন্স টিম তাদের দ্রুত কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবে।”


ডিএমপির নির্দেশনাগুলো হলো-


১। পরীক্ষার হলে রওনা দেওয়ার আগে অবশ্যই প্রবেশপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও কলম সঙ্গে নিন।


২। পরীক্ষা শুরুর আগের দিন কেন্দ্রের অবস্থানটি ভালো করে জেনে নিন এবং আপনার বাসা থেকে কোন রাস্তায় যেতে হবে তার পরিষ্কার ধারণা নিন।


৩। পরীক্ষা শুরুর আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য পরীক্ষার্থী/অভিভাবকদের সড়ক-মহাসড়কের যানজটের বিষয়টি মাথায় রেখে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।


৪। বাসা থেকে এমনভাবে বের হতে হবে যেন ন্যূনতম ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে পৌঁছানো যায়।


৫। যেসব সড়ক পারাপারে রেলক্রসিং আছে, তা বিবেচনা করে বাসা হতে সময় নিয়ে রওনা দেওয়া জরুরি।


৬। আপনার বাসার বা পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশের সড়কে যদি কোনো খোঁড়াখুঁড়ি বা মেরামতের কাজ চলে, তবে তা বিবেচনায় নিয়ে সময়মতো রওনা দিতে হবে।


 আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর ঋণের ৭ম ও ৮ষ্ঠ কিস্তি পরিশোধ


৭। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাবধানতা অবলম্বন করে যানবাহনে চলাচলের অনুরোধ করা হলো।


৮। কোনো অবস্থাতেই গণপরিবহনে ঝুলে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা-যাওয়া করবেন না।


৯। যেসব পরীক্ষার্থী মোটরসাইকেলে করে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাবেন, তারা অবশ্যই নিরাপত্তাজনিত কারণে হেলমেট পরিধান করবেন।


১০। পরীক্ষাকেন্দ্রে আগত পরীক্ষার্থীরা যানজট বা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার সম্মুখীন হলে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।


১১। ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করুন এবং পুলিশের সহায়তা নিন।


১২। রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিং থাকলে ব্যবহার করুন।


১৩। পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে অযাচিত পার্কিং না করে অভিভাবক/পরীক্ষার্থীদের ব্যবহৃত যানবাহন কেন্দ্র থেকে দূরের নিরাপদ স্থানে পার্কিং করার জন্য অনুরোধ করা হলো।


১৪। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা কেন্দ্রের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে থাকলে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। ফলে অন্য পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি হয়। তাই পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কেন্দ্রের প্রধান গেইটে ও রাস্তায় না দাঁড়িয়ে ফুটপাতে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।


আরও পড়ুন: দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন প্রধানমন্ত্রী


১৫। পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে আড্ডা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।


১৬। গত এক বছরে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে, যা পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।


১৭। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রতিটি জোন কর্তৃক আলাদা আলাদা কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হবে এবং আলাদা ট্রাফিক পরিকল্পনা নেওয়া হবে।


১৮। বর্তমানে বর্ষাকাল চলছে বিধায় অবশ্যই ছাতা, রেইনকোর্ট কিংবা বৃষ্টি থেকে রক্ষার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সঙ্গে নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।


১৯। যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯-এ ফোন করুন।


জেবি/এসবি