গোয়াইনঘাটে ডিসির খতিয়ানভুক্ত জমি বিক্রির অভিযোগ


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮:০৬ অপরাহ্ন, ৩০শে জুন ২০২৪


গোয়াইনঘাটে ডিসির খতিয়ানভুক্ত জমি বিক্রির অভিযোগ
ছবি: প্রতিনিধি

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের মানিকগঞ্জ বাজারে ডিসির খতিয়ানভুক্ত প্রায় দুই শতক জমি বিক্রয়েরর  অভিযোগ পাওয়া গেছে। 


রবিবার (৩০ জুন) উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের নগরডেংরী গ্রামের সালেহ আহমদ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।  


অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের মানিকগঞ্জ বাজারের ডিসির খতিয়ানভুক্ত ফতেপুর ৫ম খন্ড মৌজার ১নং খতিয়ানের জেএল নং ১৯১ ও ৫৩ নং দাগের হাট শ্রেণীর প্রায় দুই শতক জমি ডৌবাড়ী ইউনিয়নের হাটগ্রামের মৃত সৈয়দ আহমদের পুত্র এস এম জিয়াউল ইসলাম (৫৫) ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছেন। 


আরও পড়ুন: গোয়াইনঘাটে আকস্মিক বন্যায় হাওর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


ভুক্তভোগী দিনমজুর সালেহ আহমদ বলেন, আমি সহজ-সরল মানুষ। আমার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা নিয়েছে হাটগ্রামের জিয়াউল। টাকা দেওয়ার পর মানিকগঞ্জ বাজারের জায়গায় আমি দোকান কোটা বানানোর কাজে গেলে বাধা প্রদান করে প্রশাসন। পরে অর্ধেক কাজ করে আটকে যাই। জিয়াউলের কাছে আমার টাকা ফেরত চাইলে তিনি নানা টালবাহানা করেন। এলাকার মুরব্বীদের মাধ্যমে টাকা ফেরত চাইলে আমাকে আরো উল্টো হুমকি দেন। এরপর নিরুপায় হয়ে আমার টাকাগুলো উদ্ধার ও প্রতারক জিয়াউলের বিরুদ্ধে  আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। 


ডিসির খতিয়ানভুক্ত জমি বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত এস এম জিয়াউল ইসলাম জমি বিক্রয়ের কথা স্বীকার করেন। 


আরও পড়ুন: গোয়াইনঘাটে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি কোটি টাকার উপরে


এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এস এম জিয়াউল ইসলাম অতীতের বিভিন্ন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম ও ছবি ব্যবহার করে এলাকার সহজ-সরল মানুষকে বোকা বানিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা করে আসছেন। এসবের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে উল্টো হামলা মামলার হুমকি দিয়ে থাকেন। শুধু তাই নয় জিয়াউল বিভিন্ন সময়ে এলাকার অসহায় দরিদ্র মানুষকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন।


এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আগামী তিন কর্মদিবসে মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


জেবি/এসবি