কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এইচএসসিতে অংশ নিতে পারেনি ১৬ শিক্ষার্থী


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯:১০ অপরাহ্ন, ৩০শে জুন ২০২৪


কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এইচএসসিতে অংশ নিতে পারেনি ১৬ শিক্ষার্থী
ছবি: সংগৃহীয়

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলায় উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) কারিগরি (বিএম শাখা) পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ১৬জন শিক্ষার্থী।


রবিবার (৩০ জুন) কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের শিয়ালখোওয়া সূর্যমুখী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের ১৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিতে পারেনি।


সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার চলবলা ইউনিয়নে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে শিয়ালখোওয়া সূর্যমুখী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ দিন ধরে প্রতি বছর ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কারিগরি শিক্ষায় ব্যাপক সফলতা অর্জন করে আসছে। প্রতিবছরের মতো এ বছরও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশে যথা সময়ে প্রতিষ্ঠানটির এইচএসসি প্রথম বর্ষের ১৬ জন পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেন।


আরও পড়ুন: সিলেটে এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর


পরীক্ষার্থীরা যথা সময়ে প্রবেশপত্র সংগ্রহের জন্য প্রতিষ্ঠানে গেলে জানতে পারে যে তাদের প্রবেশপত্র আসেনি এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র পৌঁছে দেয়া হবে। এমন আশ্বাসে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে প্রবেশপত্র পায়নি আজ। ফলে ফরম পূরণ এবং প্রস্তুতি নিয়েও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। কেন্দ্রে পৌঁছেও পরীক্ষা দিতে না পেরে হতাশা নিয়ে ফিরে গেছেন ১৬ জন পরীক্ষার্থী।


প্রতিষ্ঠানটির পরীক্ষার্থী বিপুল চন্দ্র ও আবু হাসান লিমন জানান, পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কলেজে দিয়ে যথাসময়ে ও যথানিয়মে ফরম পূরণ করেন ১৬জন পরীক্ষার্থী। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল কেন্দ্রেই প্রবেশপত্র পৌঁছে দেয়া হবে। সেই আশায় কেন্দ্রে গিয়েও পরীক্ষা দিতে পারেননি তারা। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেল শিক্ষা জীবনের একটি বছর। এর ন্যায় বিচার দাবি করেন তারা।


পরীক্ষার্থীর অভিভাবক বাবুল বলেন, সন্তানদের জীবন নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলে এমন শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া উচিৎ। তাদের অবহেলায় ১৬ জন পরীক্ষার্থীর জীবন থেকে হারিয়ে গেলো একটি বছর। তিনিও ন্যায় বিচার দাবি করেন।


আরও পড়ুন: প্রথম দিনে এইচএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিত প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী


শিয়ালখোওয়া সূর্যমুখী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক সুকুমার বলেন, ১৬ জন পরীক্ষার্থীর সকলের ফরম পূরণ করা হয়েছিল। অনলাইন জটিলতায় তাদের প্রবেশপত্র পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে ঢাকায় কয়েক দফায় গিয়েও কোন কাজ হয়নি। এর বাইরে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।


কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম বলেন, লোক মুখে বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


জেবি/এসবি