বাংলাদেশিদের কিডনি পাচার, দিল্লিতে অ্যাপোলোর চিকিৎসক গ্রেফতার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২:২৮ অপরাহ্ন, ৯ই জুলাই ২০২৪
বাংলাদেশ ও ভারতে কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযোগে দিল্লি ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ৫০ বছর বয়সী ডা. বিজয়া কুমারকে কিডনি পাচার চক্রের সদস্য হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ডা. বিজয়া কুমার দিল্লির উপকণ্ঠে অবস্থিত নয়ডা উপশহরের ‘যথার্থ’ নামের একটি হাসপাতালে অন্তত ১৫ থেকে ১৬ জন ব্যক্তির কিডনি অপারেশন করেছেন। অপারেশনগুলো মূলত বাংলাদেশের দরিদ্র নাগরিকদের কিডনি অপসারণের জন্য করা হয়েছে। এই অপারেশনগুলো ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে হয়েছে।
পুলিশ জানান, এই পাচার চক্র দরিদ্র বাংলাদেশিদের অর্থের লোভ দেখিয়ে দিল্লির আশপাশের হাসপাতালে নিয়ে আসত। সেখানে চক্রের সঙ্গে জড়িত চিকিৎসকরা তাদের কিডনি অপসারণ করতেন।
আরও পড়ুন: ভারতে প্রবল বৃষ্টিতে দুইদিনে নিহত ১৩
ডা. বিজয়া কুমার যে চক্রটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সেই চক্রের অধিকাংশ সদস্য বাংলাদেশি নাগরিক। গত মাসে দিল্লি পুলিশ এই চক্রের তিনজন বাংলাদেশি সদস্যকে গ্রেফতার করে।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতো ভারতেও অর্থের মাধ্যমে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে স্বেচ্ছায় অঙ্গ দানের ক্ষেত্রে আইনগত অনুমতি রয়েছে। কিন্তু এই কিডনি পাচার চক্রটি ভুয়া নথি তৈরি করে সেই নথি বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা দিয়ে অপারেশন পরিচালনা করত। পুলিশ এসব ভুয়া নথি উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপজয়ী ভারতকে হারিয়ে জিম্বাবুয়ের উৎসব
প্রায় ১৫ বছর আগে ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তার হিসেবে যোগ দেন ডা. বিজয়া কুমার। বর্তমানে তিনি সেখানে জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ও কিডনি প্রতিস্থাপন সার্জন হিসেবে কাজ করতেন। নয়ডার ‘যথার্থ’ হাসপাতালেও ভিজিটিং কনসালটেন্ট ছিলেন তিনি।
হাসপাতালের অতিরিক্ত মেডিকেল সুপারিটেন্ডেন্ট সুনীল বালিয়ান জানান, “ডা. বিজয়া যে ব্যক্তিদের কিডনি অপসারণ করেছেন তারা কেউই হাসপাতালের নিবন্ধিত রোগী ছিলেন না। তার সুপারিশের ভিত্তিতেই তারা ভর্তি হয়েছিলেন।”
ডা. বিজয়া কুমারি ছাড়াও ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের আর কোনও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। সূত্র : দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
জেবি/এসবি