সড়ক বন্ধ করে বিশৃঙ্খলা করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা: ডিএমপি


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:৪৮ অপরাহ্ন, ১১ই জুলাই ২০২৪


সড়ক বন্ধ করে বিশৃঙ্খলা করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা: ডিএমপি
ছবি: সংগৃহীত

কোটা নিয়ে বুধবার আদালত একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে আর কোটা নিয়ে আন্দোলনের কোনও অবকাশ নেই বলে উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ: মহিদ উদ্দিন বলেছেন, “আমরা অনুরোধ করব, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আর নতুন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির মতো কর্মসূচি দেবেন না, অন্তত এই চার সপ্তাহ। এরপরেও যদি আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা হয়, তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।”


বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত জরুরি এক প্রেস কনফারেন্সে কথা বলেন তিনি। সমসাময়িক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে প্রেস কনফারেন্স আয়োজন করা হয়।


এদিকে, সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর একমাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্রটি বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। বুধবার (১০ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।


ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, “হাইকোর্টের রায়ের ওপর সর্বোচ্চ আদালত চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন। ফলে আজ থেকে শিক্ষার্থীদের আর জনদুর্ভোগ করার কোনো অবকাশ আছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশ মনে করে না।”


আরও পড়ুন: ‘আমরা চাই কোটার বিষয়টি সুন্দরভাবে নিষ্পত্তি হয়ে যাক’


তিনি বলেন, “যারা আন্দোলন করছেন তাদের প্রতি পুলিশের অবশ্যই ভালোবাসা, সহমর্মিতা আছে। কিন্তু একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে দেশের প্রচলিত আইন ও সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে আমরা বাধ্য। সে জায়গা থেকে যেহেতু শিক্ষার্থীরা শিক্ষিত, ফলে ডিএমপির পক্ষ থেকে আমি বিনীত অনুরোধ করছি তারা যেন জনদুর্ভোগ হয় এমন কোনো কর্মসূচি না দেয়৷”

 

এদিকে, কোটাবিরোধী আন্দোলনে ঘোষিত এক দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজও (বৃহস্পতিবার) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঢাকাসহ সারাদেশে সর্বাত্মক “বাংলা ব্লকেড” কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে এ কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা আসে বুধবার রাতেই।


সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা পদ্ধতি বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত শনিবার (৬ জুলাই) শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি শেষে সারাদেশে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, মহাসড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দেন। এ কর্মসূচিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘বাংলা ব্লকেড’ হিসেবে ঘোষণা করেন। পরে সেই আন্দোলন রূপ নেয় এক দফায়।


আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনকারীদের জন্য আদালতের দরজা সবসময় খোলা: প্রধান বিচারপতি


এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার (৭ জুলাই) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে টানা ৪ ঘণ্টা ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে প্রথম দিনের “বাংলা ব্লকেড” কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ওইদিন রাতেই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে পরদিন সোমবারও (৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে একই কর্মসূচি পালন করেন তারা।

 

দ্বিতীয় দিনের অবরোধ প্রত্যাহারের আগে মঙ্গলবার (১০ জুলাই) গণসংযোগ কর্মসূচি এবং সেই কর্মসূচি শেষে বুধবার আবারও ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবারও অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা আসে।


জেবি/এসবি