কোটা আন্দোলনকারীদের হটিয়ে ঢাবি ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণে ছাত্রলীগ
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:১১ অপরাহ্ন, ১৫ই জুলাই ২০২৪
কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হটিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ছাত্রলীগ।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণে নেয় তারা।
এর আগে এদিন বিকেল ৩টার দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঢাবির বিজয় একাত্তর হল সংলগ্ন হল পাড়ায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। একপর্যায়ে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের পিটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে ক্যাম্পসের নিয়ন্ত্রণে নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে সংবাদক র্মীসহ অনেকেই আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে সরকারি চাকরিতে “মুক্তিযোদ্ধা কোটা” নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন শুরু হয়। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে আন্দোলনকারী-ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ৩০
কোটা বিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
আরও পড়ুন: তারা কি জানে একাত্তরে কী ঘটেছিলো: প্রধানমন্ত্রী
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা- “কোটা না মেধা, মেধা মেধা”, “কে রাজাকার কে রাজাকার, তুই রাজাকার তুই রাজাকার”, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রাষ্ট্র কারো বাপের না”, “চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার”, “আমার স্বাধীন বাংলায়, একের কথা চলে না”, “তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি”, “লাখো শহীদের রক্তে কেনা, দেশটা কারো বাপের না” “অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন”, হামলা/মামলা দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না” ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
প্রসঙ্গত, রবিবার(১৪ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরাও পাবে না? তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে? আমার প্রশ্ন দেশবাসীর কাছে।”
জেবি/এসবি