জাবিতে আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত অর্ধশত


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯:২২ অপরাহ্ন, ১৫ই জুলাই ২০২৪


জাবিতে আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত অর্ধশত
ছবি: প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর সরাসরি হামলা করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় আন্দোলনকারীদের অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে ৷


সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু হল সংলগ্ন এলাকায় আসলে ছাত্রলীগ হামলা চালায় ৷


এসময় ছাত্রলীগের শাখা সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনকে হেলমেট পরিহিত অবস্থায় ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়।


আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের হামলায় ইডেন কলেজের ৪ ছাত্রী ঢামেকে ভর্তি


বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসা সেবা নিতে আসতে দেখা যায় ৷ এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুর রশীদ জিতু, মাহফুজ ইসলাম মেঘকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সমন্বয়ক জাহিদুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম বাপ্পি গুরুতর আহত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে সেবা নিয়েছেন।


এছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আওলাদ হোসেন গুরুতর আহত হয়েছেন। এমনকি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক চিন্ময় সরকার আহত হয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে সেবা নিয়েছেন।


আরও পড়ুন: রাবিতে বাম ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ রাবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে


বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. অমিতাভ জানান, আমি ৮ টার সময়ে এসে অন্তত ২০-৩০ জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পেয়েছি ৷ রাত সাড়ে আটটায় মেডিক্যাল সেন্টারে সর্বশেষ তথ্যমতে, অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে, গুরুতর আহত অবস্থায় অন্তত ২০-২৫ জনকে সাভারের এনাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরিফ সোহেল বলেন, আমরা একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু হল এলাকায় আসলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আগে থেকেই লাঠিসোটা নিয়ে প্রস্তুত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আগে থেকে জানা সত্ত্বেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে ৷


এমএল/