সহিংসতার ঘটনা বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করা উচিত: জাতিসংঘ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৫ অপরাহ্ন, ২৫শে জুলাই ২০২৪
বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সহিংসতার স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে তদন্ত করা উচিত বলে মনে করে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে সংলাপের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে হবে বলে জাতিসংঘ মনে করে।
বুধবার (২৪ জুলাই) জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশে যা ঘটছে, আমরা যা দেখেছি, গণগ্রেপ্তার, হত্যাকাণ্ড সেসব ব্যাপারে আমরা আমাদের উদ্বেগ অত্যন্ত স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছি।’
আরও পড়ুন: পুরোদমে অফিস রবিবার, কারফিউ থাকতে পারে যে সময় পর্যন্ত
তিনি বলেন, ‘মানুষের শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করতে পারার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর কর্তৃপক্ষের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। এটি এমন একটি অধিকার, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তিতে নিহিত রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সহিংসতার সব ঘটনা একটি স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য পদ্ধতিতে তদন্ত করা উচিত। দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনা দরকার, তবে সংলাপের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’
স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘আমরা সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন অংশে, বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ দেখছি। যেখানে তরুণেরা বিশ্বের অবস্থা, নিজেদের ভবিষ্যৎ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠানের সংবেদনশীলতা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তবে যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো- বিক্ষোভ যেখানেই হোক না কেন, গ্রেপ্তারের ভয় ছাড়াই, আহত বা আরও খারাপ পরিস্থিতির ভয় ছাড়াই মানুষকে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করার অনুমতি দেওয়া ‘
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট গতি বৃদ্ধি ও ফেসবুক নিয়ে যে বিটিআরসির নির্দেশনা
আরেক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনীর সরাসরি গুলি করাসহ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন, সে কথা ইতিমধ্যে বলা হয়েছে। আমরা এই উদ্বেগের কথা প্রকাশ্য বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছি। আবার সরাসরি বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।’
স্টিফেন ডুজারিক আরও বলেন, ‘দেখুন, শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশ্নে আমার বক্তব্য হচ্ছে- জাতিসংঘে কর্মী নিযুক্তির ক্ষেত্রে ব্যক্তির মানবাধিকার যাচাইয়ের প্রাথমিক দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সদস্যরাষ্ট্রের। তারা এই বিষয়টি নিশ্চিত করবে, মোতায়েনের জন্য মনোনীত কর্মী অতীতে আন্তর্জাতিক মানবিক বা মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত নন, কিংবা জাতিসংঘের কোনো অভিযান থেকে ফেরত পাঠানো হয়নি।’
ডুজারিক বলেন, ‘আমরা স্পষ্টতই এ বিষয়ে দেশগুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা নিশ্চিত করতে চাই, জাতিসংঘের মানবাধিকার নীতির প্রয়োজনীয়তা মেনে চলতে আমরা সব ব্যবস্থা নিয়েছি।’
এমএল/