সুন্নতে খতনার সঠিক বয়স কত?
ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশ: ০১:০৫ অপরাহ্ন, ২৮শে জুলাই ২০২৪
ছেলে শিশুদের খতনা করানো ইসলামে সুন্নতে মুয়াক্কাদা। হাদিস শরিফে এটিকে ফিতরত বা সুন্নত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত নাবি কারিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,
الْفِطْرَةُ خَمْسٌ - أَوْ خَمْسٌ مِنَ الْفِطْرَةِ - الْخِتَانُ وَالاِسْتِحْدَادُ وَتَقْلِيمُ الأَظْفَارِ وَنَتْفُ الإِبْطِ وَقَصُّ الشَّارِبِ
অনুবাদ: পাঁচটি কাজ ফিতরাতের অন্তর্ভুক্ত; খতনা করা, নাভির নিচের পশম কাটা, নখ কাটা, বগলের পশম উপড়ে ফেলা এবং গোঁফ ছাঁটা। (সহিহ বুখারি, ও মুসলিম)
আরও পড়ুন: কারবালার ময়দানে কি বলেছিলেন হয়রত ইমাম হোসেন (রাঃ)
খতনার জন্য শরিয়তে কোনো বয়স নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি। তবে শিশু প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই যেন তাকে খতনা করানো হয় সেদিকে খেয়াল রাখা তার অভিভাবকের দায়িক্ত ও কর্তব্য।
এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের পরার্মশ নেওয়া যেতে পারে। চিকিৎসকদের পরার্মশ অনুযায়ী যে বয়সে খতনা করানো শিশুর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ, পরবর্তীতে জটিলতা তৈরি হওয়ার আশংকা কম সে বয়সেই খতনা করানো উচিত।
সাধারণত আমাদের দেশে সাত থেকে দশ বছর বয়সের মধ্যে সুন্নতে খতনা করানো হয়। এটি শরিয়তের দৃষ্টিতেও খতনা করানোর উপযোগী বয়স। কেউ আরও কম বয়সে চিকিৎসকদের সাথে পরামর্শ করে খতনা করালে তাতেও দোষের কিছু নেই।
আরও পড়ুন: ইসলামে জালেম ও জুলুমের ভয়াবহ পরিণতি
সুন্নতে খতনা উপলক্ষে দাওয়াতের আয়োজন করা
সুন্নতে খতনা উপলক্ষে দাওয়াতের আয়োজন করা ইসলামি শরিয়তে জায়েজ, তবে এটা সুন্নত বা মুস্তাহাব নয়, এবং ইসলামে এর বিশেষ কোনো ফজিলতও নেই। আল্লাহর রাসুল নাবি কারিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যুগে সুন্নতে খতনা উপলক্ষে কোনো অনুষ্ঠান বা দাওয়াতের আয়োজন করা হতো না। (মুসনাদে আহমদ : ৪/২১৭)।
কিন্ত কোনো কোনো সাহাবিরা সুন্নতে খতনা উপলক্ষে কখনো খাবারের ব্যবস্থা করেছেন এমন বর্ণনা পাওয়া যায়। হযরত তাবেঈ নাফে (রহ.) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বাচ্চাদের সুন্নতে খতনা উপলক্ষে খাবার খাওয়াতেন। অন্য এক বর্ণনায় আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) পুত্র সালেম (রহ.) বলেন, আমার বাবা আমার এবং নুআইম ইবনে আবদুল্লাহর সুন্নতে খতনা উপলক্ষে একটি ভেড়া জবাই করেছিলেন। আমরা ওই ভেড়ার গোশত কেটে কেটে বাচ্চাদের দিয়েছিলাম। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা)
আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ দান নিয়ে যা বলেছেন মহানবী (সা.)
এসব বর্ণনাগুলোর আলোকে বলা যায় ইসলামি শরিয়তে সুন্নতে খতনা উপলক্ষে দাওয়াতের আয়োজন করা জায়েজ, এবং এসব দাওয়াতে অংশগ্রহণ করাও ইসলামি শরিয়তে জায়েজ। তবে এটাকে ইসলামি শরিয়তের বিধান বা জরুরি, মুস্তাহাব বা বিশেষ ফজিলতপূর্ণ কাজ বলে মনে করা যাবে না।
এসডি/