রাগ করলেই যেসব রোগের ঝুঁকি বাড়ে


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪:১৯ অপরাহ্ন, ২৮শে জুলাই ২০২৪


রাগ করলেই যেসব রোগের ঝুঁকি বাড়ে
প্রতীকী ছবি

অতিরিক্ত রাগ কখনো কখনো মানসিক রোগেরও কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। রাগ কমবেশি প্রত্যেকেই করেন। সুধু পার্থক্য কেউ কম, আবার কেউ বেশি। তবে অতিরিক্ত রাগ মানসিক রোগেরও কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। মানুষ বেশিরভাগ সময় উত্তেজিত হয়ে বা রেগে গিয়ে খারাপ কথা কিংবা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। রাগ মূলত মানুষের মানসিক চাপ বাড়ায়। তাছাড়া রাগ মানুষের শারীরিক বিভিন্ন সমস্যারও কারণ হয়ে দাঁড়ায়।


২০১৮ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে গ্যালাপ (গ্লোবাল ইমোশনস রিপোর্ট)। সেই প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, গবেষণায় অংশ নেওয়া ১৪০টি দেশের ১ লাখ ৫১ হাজার অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২২ শতাংশই অতিরিক্ত রাগের সমস্যায় ভুগছিলেন। অপর দিকে ৩৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী রাগের কারণে চিন্তিত ছিলেন।


আরও পড়ুন: বাড়িতে বাচ্চা থাকলে ভুলেও আনবেন না যেসব গাছ


মনের অবস্থাই হলো রাগ, এটি বেঁচে থাকার জন্য খুবই প্রয়োজন। কিন্ত আমাদের চাপের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে তা প্রায় 

সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। যদিও একেক জনের রাগ একেক রকম। তবে পরিস্থিতিতি যেমনিই হোক নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।


বেশি রাগ ও চিৎকার কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়?

রক্তচাপ বাড়ে

আমরা যখন রেগে যেয়ে চিৎকার করি তখন শরীরে ৫টি জিনিস ঘটে। যেমন: হঠাৎ হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া। আবার লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে, রেগে গিয়ে কনো কথা বলতে গেলেই তর্কে জড়িয়ে পড়েন বেশিরভাগ মানুষ। আর তখন হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। তার মানে হলো, রাগ প্রত্যকের রক্তচাপও বাড়ায়।


আরও পড়ুন: প্রতিদিন অফিসে যেতে দেরি করেন?


হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়

এ কারণে মুখ ও ত্বক লালচে হয়ে যায় এবং শিরা বেরিয়ে আসে। বেশি রেগে যাওয়ার কারণে দ্রুত শ্বাস নিতে হয় আবার তখন হাত-পা  স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঠান্ডা হয়ে পড়ে। তাহলে বুঝতেই পারছেন হঠাৎ রেগে গেলে শরীরের সব ব্যবস্থারই পরিবর্তন ঘটে। যা প্রক্যের বিপদ ডেকে আনতে পারে।


 শরিরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়

গবেষকরা গবেষনা করে পেয়েছেন যে, অতীতের কোনো উত্তপ্ত তর্কের কথা স্মরণ করলে অথবা রেগে গিয়ে চিৎকার করে উঠলে ৬ ঘণ্টার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় প্রক্যেকের। খুববেশি রাগী মানুষেরা নিজের অজান্তে শারীরিক বিভিন্ন ধরণের রোগের ঝুঁকি বাড়ান।


মেটাবলিজমেও পরিবর্তন ঘটে

অতিরিক্ত রেগে গেলে মেটাবলিজমেও পরিবর্তন ঘটে। যারা অতিরিক্ত রাগের সমস্যা পুষিয়ে রাখেন তারা নিয়মিত মাথাব্যথা, উদ্বেগ, অনিদ্রা ও হজমের সমস্যায় ভুগতে পারেন।


আরও পড়ুন: চুল কেন পড়ে? থামাবেন যেভাবে


ত্বকের সমস্যাও বাড়ে

অতিরিক্ত রাগী ব্যক্তিদের বিভিন্ন ধরণের ত্বকেরসমস্যা বাড়ে। যেমন- অ্যাকজিমাসহ  শরিরে নানা ধরনের চর্মরোগ বাসা বাঁধতে পারে। এসব মানুষের স্ট্রোক অথবা হার্ট অ্যাটাকের উচ্চ ঝুঁকি থাকে। রেগে গিয়ে কারও সঙ্গে তর্ক জড়ানো কিংবা উত্তপ্ত ও কঠোর শব্দ বিনিময়ের কারণে আপনার মস্তিষ্কেও খারাপ প্রভাব বয়ে আনতে পারে।


ব্যথা বাড়ে

আপনি জানলে অবাক হবেন যে, রেগে গিয়ে চিৎকার করার জন্য আপনি দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার সমস্যায় ভুগতে পারেন। কিছু গবেষণার মাধ্যে দেখা গেছে, ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামনে বাবা-মা চিৎকার করলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ বাঁধাগ্রস্ত হয়। তাদের মানসিক অবস্থারও পরিবর্তন ঘটে।


এসব শিশুরা বড় হলে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথায় সম্যসায় ভুগতে পারেন। যেমন- পিঠে ও ঘাড়ে ব্যথা, মাথাব্যথা ও বাতের সমস্যা বেশি দেখা যেতে পারে। গবেষণার মাধ্যেমে আরও দেখা যায়, তর্কের সময় নিজেকে জয়ী প্রমাণ করতে বেশিরভাগ মানুষই  আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। যা কনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।


এসডি/