বিআরটিএ -এর হয়রানি তদন্তের নিদের্শ আদালতের
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:০৭ অপরাহ্ন, ১লা আগস্ট ২০২৪
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)-এর কক্সবাজার কার্যালয়ে সক্রিয় দালাল চক্রের সদস্যদের শনাক্ত এবং হয়রানিতে জড়িতের শনাক্ত করতে তদন্তের নিদের্শ দিয়েছে আদালত।
কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে স্বপ্রণোদিত হয়ে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত -০১ এর বিচারক মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে কক্সবাজারের ২০০ গ্রাম প্লাবিত
গত ১৭ জুলাই দৈনিক জনবাণী পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় ‘কক্সবাজারে বিআরটিএ ঘুষ না দিলে হয়রানি চলছে দালাল দিয়ে’ শিরোনামের সংবাদটি প্রকাশ হয়েছিল।
আদেশে বিষয়টি তদন্ত করে আগামি ১৫ দিনের মধ্যে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসিকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে কক্সবাজার বিআরটিএ কার্যালয়ে পরিবহণের রেজিস্ট্রেশন, নতুন লাইন্সেস তৈরি, যানবাহনে ফিটনেস সনদ প্রদান ও নবায়ন সহ নানা সেবায় হয়রানী হওয়া ভুক্তভোগীরদের বক্তব্য ও ভোগান্তির কথা বলা হয়েছে। যেখানে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যও রয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে দুটি হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ
প্রতিবেদনটি নিয়ে আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, বিআরটিএ, কক্সবাজার অফিসে সক্রিয় দালাল চক্রের মাধ্যমে সাধারণ জনগণ ভোগান্তিতে পড়ছে। এ ধরনের কর্মকান্ড সাধারণ মানুষের হয়রানির পাশাপাশি দেশের সার্বিক উন্নয়নে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। সংবাদটি ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৯০ (১) (সি) ধারায় আমলে নেয়ার ক্ষমতা প্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট এর নজরে আসে। উক্ত প্রতিবেদনে বর্ণিত ঘটনা পর্যালোচনায় দি পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৪১৭/৪২০ সহ অন্যান্য কিছু ধারায় অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে মর্মে সন্দেহের কারণ রয়েছে যা তদন্ত হওয়া একান্ত প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার পৌরসভার ৫৯৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
বিচারক আদেশে উল্লেখ করেছেন, অধিকন্তু প্রচলিত ধারণা রয়েছে যে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর লাইসেন্স প্রস্তুত হয়ে তা ডাকযোগে সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় ইস্যু হওয়া স্বত্তেও ডাক বিভাগের কিছু অসাধু পিয়ন/কর্মচারী সেগুলো বিলি না করে প্রার্থীর নিকট হতে উৎকোচ দাবী করে এবং উৎকোচ ব্যতিত লাইসেন্স হস্তান্তর না করে হয়রানী করে। এক্ষেত্রে ডাক-বিভাগের কোন কর্মকর্তা কর্মচারী তাতে জড়িত আছে কিনা সেই বিষয়েও তদন্তের মাধ্যমে তাদেরও শনাক্ত করা প্রয়োজন মনে করেন বিচারক।
এসডি/