৭১ এর অপশক্তিই রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জানমালের ক্ষতিসাধন করেছে: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৮ অপরাহ্ন, ১লা আগস্ট ২০২৪
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, ৭১ এর অপশক্তিই রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জানমালের ক্ষতিসাধন করেছে এবং দেশের চলমান উন্নয়নের ধারা ব্যহত করেছে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) খাগড়াছড়ি জেলার টাউন হলে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন। মেলায় ২৫ টি স্টলে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছের সমন্বয়ে প্রায় ১ হাজার চারার প্রদর্শনী হয়।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক তদন্ত করে বের করা হবে, কারা এসবে জড়িত: প্রধানমন্ত্রী
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ন্যায় আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওই সকল রাজাকার, আলবদর, আলশামস এর দোসরদের অন্যায় ও অপরাধমূলক কাজকে রুখে দিতে হবে। এছাড়াও এসব রাজাকার, আলবদর, আলশামস অপশক্তির দোসরদের অপরাধমূলক কাজের কথাও আপনাদের স্মরণে রাখতে হবে। কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ তার বিচার করে, ভালো কাজে সকলকে মনোনিবেশ করতে হবে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশবাসীকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ব্রত নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। আজকের ছাত্র-ছাত্রী আগামী দিনের ভবিষ্যত। আজকের ছাত্র-ছাত্রীরাই একদিন এ দেশের মালিক হবে। তারাই হবে প্রজ্ঞাবান, বুদ্ধিমত্তার অধিকারীসহ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর।
আরও পড়ুন: জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা আরো বলেন, খাগড়াছড়িতে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলা এ দেশকে বাসযোগ্য করে তুলবে এবং পরিবেশকে বাঁচাবে। সময় এসেছে, আমরা এখনই ব্রত নিই, আমরা বৃক্ষ নির্দয়ভাবে নিধন করবো না। বনকে সংরক্ষণ করবো। তবেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আমরা রক্ষা পাবো। বৃক্ষরোপণ ও বনকে সংরক্ষণ করা গেলেই পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের এক দশমাংশ জায়গাকে পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞা, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তাধর, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. দিদারুল আলম, ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের কর্মকর্তা মো. বাছিরুল আলম, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা ইসলাম, খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি মো. তানভীর হাসান, সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শানে আলম, পাজেপ সদস্য এড. আশুতোষ চাকমা, নিলোৎপল খীসা প্রমুখ।
জেবি/আজুবা