নয়াদিল্লিতে গ্লোবাল সাউথ সামিটে ভার্চুয়ালি ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, ১৭ই আগস্ট ২০২৪
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আয়োজন করা তৃতীয় ভয়েস অব দ্য গ্লোবাল সাউথ সামিটে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এটিই হতে যাচ্ছে অধ্যাপক ইউনূসের প্রথম বৈশ্বিক কোনো অনুষ্ঠান।
শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে এই বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনটি রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান পর্যায়ে হবে, যাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অতিথিদের স্বাগত জানাবেন। উদ্বোধনী অধিবেশনের থিম শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্যের মতোই—‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ক্ষমতাধর বৈশ্বিক দক্ষিণ’।
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় অতিরঞ্জিত খবর প্রকাশ হয়েছে: ড. ইউনূস
এর আগে এই সামিটে যোগ দিতে ড. ইউনূসকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুই দেশের নেতার মধ্যে এক ফোনালাপে এই আমন্ত্রণ জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, তখনই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার বিষয়ে রাজি হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ভারত ২০২৩ সালের ১২-১৩ জানুয়ারি প্রথম ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট এবং ২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর দ্বিতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট ভার্চুয়াল ফরম্যাটে আয়োজন করেছিল। শীর্ষ সম্মেলনের আগের দুটি সংস্করণেই গ্লোবাল সাউথ থেকে ১০০টিরও বেশি দেশ অংশগ্রহণ করেছে।
১৭ নভেম্বর হওয়া ‘দ্বিতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট’ ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে গণভবন থেকে যোগ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: আরও এক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন আসিফ মাহমুদ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুক্রবার (১৬ আগস্ট) এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
পোস্টের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ফোনালাপে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন।
এক্সে দেওয়া পোস্টে ফোনালাপের বিষয়টি তুলে ধরে মোদি লিখেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং অগ্রগামী বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছি। তিনি আমাকে বাংলাদেশের হিন্দুসহ সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
এমএল/