ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১১ পরিবার পেল পৌনে ৬ লাখ টাকা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১১ পরিবার পেল পৌনে ৬ লাখ টাকা
ছবি: প্রতিনিধি

ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও কসবা উপজেলার অসংখ্য পরিবার। কেউ হারিয়েছেন বসতবাড়ি, কেউ হারিয়েছেন জমির ফসল ও পুকুরের চাষের মাছ। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছেন তারা।

 

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুমের মামলা না নেওয়ায় বিক্ষোভ-মানবন্ধন


এই অবস্থায় পাশে দাঁড়িয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনপ্রিয় ফেসবুক ভিত্তিক সংগঠন ‘বাউনবাইরার কতা’। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর)  আখাউড়া-কসবা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ক্ষতিগ্রস্ত ১১টি পরিবারের মাঝে গৃহনির্মাণের জন্য ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বিতরণ করেন সংগঠনের সদস্যরা।


এসময় উপস্থিত ছিলেন ‘বাউনবাইরার কতা’র এডমিন ডা. মাহবুবুর রহমান এমিল, সাংবাদিক আবুল হাসনাত মো. রাফি, সাংবাদিক চয়ন বিশ্বাস, মো. মাহাবুব উল আলম, মো. মোশারফ হোসেন, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ খায়ের, আবদুল্লাহ সরকার, সাদ্দাম হোসেন ভূইয়া, মোহাম্মদ জীবন, মোহতাসিন মোল্লা ও নিজাম  মোল্লা প্রমুখ।


বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। গত ২৩ আগস্ট রাতে গোমতী নদীর বাধ ও হাওড়া নদীর বাধ ভেঙে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়ে কসবা ও আখাউড়া উপজেলার কিছু এলাকায়। ফলে পানিতে তলিয়ে যায় দুই উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রাম। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় সাথে সাথে বিভিন্ন স্থানে ঘরবাড়ি ও রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশা ফুটে উঠছে। একচালা টিনের ঘর, মাটির ঘর, সেমিপাকা ঘর, কালভার্ট, গ্রামীণ সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় অধিকাংশ ঘর ছিল মাটির তৈরি। পানির কারণে ভেঙে পড়ে এসব ঘরবাড়ি। এই অবস্থায় পাশে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠন গুলো। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো ঘরবাড়ি নির্মাণ করতে কোন সহায়তা দেওয়া হয়নি।


এই বিষয়ে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার মোক্তার বলেন, প্রথম দিকে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। পরবর্তীতে পরিবার গুলোকে নগদ দুই হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর নির্মাণে আমরা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগে বলেছি। এক হাজার বান্ডিল টিন ও নগদ অর্থ চেয়েছি, যদি এগুলো বরাদ্দ দেয় তাহলে ঘরবাড়ি পুনঃনির্মাণে সহায়তা করা যাবে।


আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজ ২ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার


‘বাউনবাইরার কতা’র এডমিন ডা. মাহবুবুর রহমান এমিল বলেন, আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বছরের নানান সময়ে সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকি। এরই অংশ হিসেবে বন্যার শুরুতে আমরা গ্রুপ সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে সহায়তা গ্রহণ করি। এই অর্থে প্রথম ধাপে ২৫০ টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেই। ২য় ধাপে আমরা ১১টি পরিবারকে গৃহ পুনর্বাসন করতে পৌনে ৬ লাখ টাকা প্রদান করেছি।


এসডি/