গাজীপুরে জোরপূর্বক জমি দখলে বাধা আহত ৮
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:০৫ অপরাহ্ন, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪
গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুরে জমি জোরপূর্বক জবরদখল করে এবং সাইনবোর্ড লাগিয়ে জমি জবরদখল করে আওয়ামী লীগের লুৎফর বাহিনী গং তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে লুৎফর বাহিনীর হামলায় ৮ জন আহত হয়েছেন। কাশিমপুরের ৫ নং ওয়ার্ডের ছায়াতল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ছায়াতল গ্রামের নাজিমুদ্দিন ও একই গ্রামের লুৎফর রহমান এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
এ নিয়ে এ সময় কাশিমপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে কাশিমপুর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ উভয়পক্ষকে ঝামেলা না করে আদালতের মাধ্যমে সমাধান করার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু পুলিশ স্থান পরিবর্তন করার সাথে সাথেই ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা।
আরও পড়ুন: শ্রীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী গ্রেফতার
প্রত্যক্ষদর্শী মমিনুর জানায়, ২০০৬ সাল থেকে প্রায় ১৮ বছর যাবত সুরাবাড়ি মৌজার ১৩ শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছিলো। যার আর এস ৫০ এবং সি এস ২৪৯।
জমিটিতে লুৎফর রহমানও মালিকানা দাবি করে। তারা জমি নিয়ে আদালতে মামলা করে তবে মামলাতে জমির রায় পায় নাজিমুদ্দিন।
জমিটি নিয়ে সামাজিকভাবে একাধিকবার বসা হলেও কোন পক্ষেই সমাধানে আসতে চায় নি। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জমিটিতে লোকজন নিয়ে কাজ করতে যায় লুৎফর রহমান ও তার ছেলে সোহাগ। এ সময় নাজিমুদ্দিন ও তার ছেলে নজরুল কাজ করতে বাধা দেয়।
এ সময় লুৎফর রহমানের নির্দেশনা আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ইউনুস মেম্বার এবং লুৎফর রহমানের ছেলে এডভোকেট সোহাগ এর নেতৃত্বে ১৫০ থেকে ২০০ জন একটি দল লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নাজিমউদ্দিন এর পরিবার এর উপর হামলা করে।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে কাভার্ডভ্যান চাপায় প্রাণ গেল অটোরিকশার ৫ যাত্রীর
এতে নাজীমউদ্দিন (৫৫) স্ত্রী আমেনা বেগম (৪৮), ছেলে নজরুল (৩৫), মিঠুনসহ আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত হয় নাজিমুদ্দিন ও নজরুল।
আহতদের শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখান থেকে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এভার কেয়ার হসপিটালে পাঠানো হয়। সংঘর্ষে অপর পক্ষের লোকজনসহ ৮ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, সংঘর্ষের পূর্বে কোন এক পক্ষ হতে থানায় ফোন দেওয়া হলে থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং আদালতের মাধ্যমে সমাধান পরামর্শ দেয়।
সংঘর্ষ এবং আহতের বিষয়ে কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএল/