জেলের জালে ধরা পড়েছে জোড়া পাখি মাছ


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:২৯ অপরাহ্ন, ৩রা অক্টোবর ২০২৪


জেলের জালে ধরা পড়েছে জোড়া পাখি মাছ
ছবি: প্রতিনিধি

একদিনের ব্যবধানে জেলেদের জালে দুই জোড়া বিশাল আকৃতির সেইল ফিস যা জেলেদের ভাষায় (পাখি মাছ) ধরা পরেছে। 


বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকাল পটুয়াখালীর আলীপুর বিএফডিসি মার্কেটে ৪টি মাছ বিক্রির উদ্দেশ্য নিয়া আসেন ফারজি বোর্ডের আমজেদ মাঝি নামের জেলে। তার মাছ ২টি ৭৫ কেজি ওজন হয় যা নিলাম বা ডাকের মাধ্যমে সাড়ে সাত হাজার টাকায় আ. সালাম নামের এক ব্যাবসায়ী ক্রয় করেন। এ সময় মাছগুলি একনজর দেখতে আড়ৎ পট্টিতে স্থানীয় উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।


অপর দিকে এফবি ভাই ভাই ট্রলারের মাঝি বাদল মিয়া ২টি পাখি মাছ কারিমা ফিসে বিক্রির জন্য নিয়া আসলে মজিবুর রহমান নামের ব্যবসায়ী নিলামের মাধ্যমে ২৫০০ ক্রয় করেন।


আরও পড়ুন: বাউফলে সেচ্ছাসেবকদল নেতার মামলায় আ'লীগের ৩ নেতা আটক 


মৎস্য আড়তদার ও জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাছটির পিঠে বিশাল আকারের পাখনা থাকায় এটিকে স্থানীয়ভাবে পাখি মাছ বলে থাকে। এটি সাগরের সবচেয়ে দ্রুতগতির জলজপ্রাণী। মাছটি ঘণ্টায় ১১০-১৩০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে। নৌকার পালের মতো এর পৃষ্ঠীয় পাখনাটি দেখতে হয় বলে একে সেইল (পাল) ফিশ বলা হয়। মাছটি শিকারের কাছে এসে রং পরিবর্তন করতে পারে।


মেসার্স কারিমা ফিসের স্বত্বাধিকার মজিবুর রহমান জানান, উপকূলে এসব মাছের চাহিদা না থাকায় তেমন একটা দাম ওঠে না। তবে নিলামের মাধ্যমে ক্রয় করে ঢাকা সহ বিভিন্ন যায়গায় চালান দেওয়া হয়। তবে এই মাছ সব সময় দেখা যায় না। 


আরো বলেন, এ মাছগুলো বিদেশেও রপ্তানি হয়। তবে দেশের নামিদামি রেস্টুরেন্টগুলোতে এ মাছের চাহিদা রয়েছে।


আরও পড়ুন: বাউফলে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারে ধ্বংসের মুখে দেশি প্রজাতির মাছ  


এফবি ফারজি ট্রলারের মাঝি আমজেদ বলেন, সাড়ে ৪ লাখ টাকার বাজার নিয়ে মাছ ফিশিং এ গিয়েছি কিন্তুু বৈরী আবহাওয়ার কারনে মাত্র ৭৫ হাজার টাকার মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরে আসতে হয়েছে। তবে আমাদের জালে অন্যান্য মাছের সঙ্গে এ পাখি মাছ ২ টি পেয়েছি। কিন্তুু চাহিদা কম থাকায় দামও একটু কম পেয়েছি। 


কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘পাখি মাছ গভীর সমুদ্র থাকে। এটি গভীর সমুদ্রের মাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম সেইল ফিস (ঝধরষ-ঋরংয)। তবে এ অঞ্চলে এই মাছ পাখি হিসেবে পরিচিত। খেতে খুব সুস্বাদু। বিদেশে পাখি মাছের চাহিদা রয়েছে তাই রপ্তানি হয়ে থাকে। এছাড়াও এ মাছের পুষ্টিগুণ মানবদেহের জন্য উপকারী।


এমএল/