যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে আটকে রেখে স্ত্রীর বোনকে নির্যাতনের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩০ অপরাহ্ন, ৬ই অক্টোবর ২০২৪
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার স্টেশন পাড়ায় স্ত্রীকে আটকে রেখে স্ত্রী মেজো বোন রিক্তা খাতুন নামে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সুমনের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী। আলমডাঙ্গা স্টেশন পাড়ার ইউনুচ আলির ছেলে সুমন গত ৬ মাস আগে নিজ বাড়িতে তুলে এনে একই উপজেলার বন্ডবিল গ্রামের আহমেদ আলীর কন্যা রত্না খাতুনকে বিবাহ করেন।
বিবাহের পর থেকে রত্না খাতুনকে তার পরিবারের সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সুমন ও তার পরিবার।
গোপনে রত্না খাতুন তার পিতা-মাতার পরিবারের সাথে কথা বলতো । কিন্তু হঠাৎ মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর রত্নার মেজো বোন রিক্তা খাতুন তার পরিবারের লোকজন সঙ্গে নিয়ে সুমনের বাড়িতে দেখা করতে যায়।
এ সময় সুমনের ও তার মা সুফিয়ে খাতুন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ওই বাড়ি থেকে তাদের এক পর্যায়ে বের করে দেয়। এবং এসময় সুমন ও সুমনের মা আগামীতে মেয়ের সাথে দেখা করতে আসার সময় ৬ লক্ষ টাকা যৌতুক হিসেবে সাথে নিয়ে আসতে বলেন ।
আর না নিয়ে আসলে ঠ্যাং ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দেয়। গত ২ অক্টোবর বিকাল বেলা রত্নার মেজো বোন রিক্তা খাতুন আলমডাঙ্গা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলা পরিষদের মধ্যে রাস্তায় সুমন ও তার বন্ধু জামজামির রিপন আলী রিক্তা খাতুন কে ওই পথে বাধা দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
এব্যাপারে রিক্তা খাতুন বলেন, আমার বোন রত্না কে সুমন জোর করে বিয়ে করেছে। কিন্তু সুমন ও পরিবার আমাদের সাথে কোন রকম যোগাযোগ করতে দেয় না। আমরা তার বাড়ি গেলে গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেয় এবং আগামীতে দেখা করতে আসার সময় ৬ লক্ষ টাকা যৌতুক হিসেবে আমাদেরকে নিয়ে আসতে বলে সুমনের মা।
পরে ২ অক্টোবর আমি উপজেলার ভেতরে বাসায় ফেরার সময়ে পিছন থেকে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, মারপিট ও শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। এ বিষয়ে আমি নিজে বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
আলমডাঙ্গা থানায় অফিসার ইনচার্জ শেখ গণি মিঞার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুসারে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেবি/এসবি