কুড়িগ্রামের বিল-ঝিলে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কচুরিপানা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:৪০ অপরাহ্ন, ৭ই অক্টোবর ২০২৪


কুড়িগ্রামের বিল-ঝিলে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কচুরিপানা
ছবি: প্রতিনিধি

আবহমান গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত সাধারণ একটি জলজ উদ্ভিদের নাম কচুরিপানা। কুড়িগ্রাম জেলাসহ বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেক এলাকায় হাওর-বাঁওড়-খাল-বিল আর শস্য-শ্যামল সবুজে ভরপুর ছোট বড় হাওর,বিল,ঝিল ও বাড়ির পাশের ডোবায় এখন ফুটেছে দৃষ্টিনন্দন কচুরিপানা ফুল দেখতে পাওয়া যায়। এটি একটি বহু-বর্ষজীবী ভাসমান জলজ উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Eichhornia crassipes। 


বাংলাদেশের বিল-ঝিল-হাওর-বাঁওড়ে বিভিন্ন জাতের বিভিন্ন রঙের ফুল ফোটে বিভিন্ন ঋতুতে। এসবের মধ্যে কিছু আছে যা আমাদের কাছে সৌন্দর্য বর্ধক,দৃষ্টিনন্দন, উপকারী কচুরিপানা বিভিন্ন নদী-নালা-খাল বিল,পুকুর,ডোবায় ও জলাশয়ে ফুটে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দেয় এবং জৈব সার তৈরিতে সাহায্য করে। কচুরিপানা ও তার ফুল জনপ্রিয় না হলেও বিভিন্ন সময়ে মাছ,গবাদিপশুর খাদ্য ও জৈব সার হিসেবে এর ব্যবহার হয়ে থাকে। 


সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে,কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার নদী-নালা,খাল-বিলে কচুরিপানার দেখতে পাওয়া যায়। জানা যায়,কচুরিপানা হলো ভাসমান এমন একটি প্রাকৃতিক জলজ উদ্ভিদ যার উৎপত্তিস্থল ব্রাজিল (আমাজন) এর ৭টি প্রজাতি রয়েছে। 


গ্রীষ্মম-লীয় এলাকায় এটি খুব দ্রুত বংশবিস্তার করে,এমনকি ৬ দিনেরও কম সময়ে সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়। দেখার দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে কচুরি ফুলের মতো এত চমৎকার ফুল খুব কম আছে। পরিমাণগত দিক দিয়েও এর মতো এত ব্যাপক বিস্তৃত ফুল খুব কমই দেখতে পাওয়া যায়। 


কবিগুরুর ভাষায়-দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া/ঘর হতে শুধু দু’পা ফেলিয়া। সত্যিকার অর্থেই যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এক আগাছা উদ্ভিদ যার কিনা উপকারের চেয়েও অপকারী দিক কোনো অংশেই কম না,এমন এক অবহেলিত উদ্ভিদে এত নয়নাভিরাম,মনোমুগ্ধকর,চিত্তাকর্ষক ফুল যা প্রকৃতিপ্রেমীদের বিমুগ্ধ না করে পারে না। 


আমাদের দেশের কৃষকেরা আলু,পটোল সহ বিভিন্ন সবজি চাষে কচুরিপানার সার ব্যবহার করে থাকেন। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা জলাশয় থেকে কচুরিপানার ফুল উঠিয়ে খেলা করে। মেয়েরা খোপায় বাঁধে। কচুরিপানার ৭টি প্রজাতি আছে। কচুরি ফুলের মুগ্ধতায় আমাদের মধ্যে প্রকৃতি প্রেম জাগ্রত হোক।


আরএক্স/