নোয়াখালীতে হাত পা মুখে কস্টেপ পেঁচিয়ে কিশোরকে হত্যা
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮:১৫ অপরাহ্ন, ৭ই অক্টোবর ২০২৪
নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলায় বাড়ি থেকে ডেকে এনে হাত পা মুখ বেঁধে ইয়াছিন আরাফত হৃদয়কে বঙ্গের দীঘিতে ফেলে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ইয়াসিন আরাফাত হৃদয় (১৫) কবির হাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের উত্তমপুর লামছি গ্রামের ছোবু ভূঁঞা বাড়ির মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের ছেলে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ক্লাসঘরের পাশে বঙ্গের দিঘী থেকে নিহত ইয়াছিন আরাফত হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে গণপিটুনিতে যুবলীগ নেতা নিহত
এই ঘটনায় দুই কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত হলেন, উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের উত্তমপুর লামছি গ্রামের মহিন উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন জিহাদ (১৫) ও কবিরহাট পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর অজি উল্যার ছেলে ইব্রাহীম খলিল আকিল (১৭)।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোর্তাহীন বিল্লাহ বলেন, কবির হাট থানায় একটি নিখোঁজের জিডি হয়, জিডির সূত্র ধরে আমরা তদন্তের ভিত্তিতে প্রথম আমির হোসেন জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করি।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আমির হোসেন জিহাদ বলেন, আমি এবং ইব্রাহিম খলিল আকিল দুইজন মিলে টিকটক বানানোর কথা বলে ইয়াসিন আরাফাত হৃদয়ের হাত পা মুখে কস্টেপ বেঁধে পানিতে ফেলে দেয়।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে মৃত পড়ে থাকা তরুণীর পরিচয় শনাক্ত
ঘটনার সূত্রপাত শুরু হয় ইয়াসিন আরাফাত ও আমির হোসেন তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই, ভিকটিম আরাফাতের সাথে জিহাদের ঝামেলা হয়। ইয়াছিন আরাফাত কিছু ছেলের সাথে চলাফেরা করতো, কিন্তু আমির হোসেন জিহাদ তা পছন্দ করতো না।
এক পর্যায়ে আমির হোসেন আরাফাতকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে এবং ইব্রাহিম খলিলের আকিল এর সাথে বিষয়টি শেয়ার করে। দুইজন ২৬ তারিখে টিক টক ভিডিও করার কথা বলে তাকে নিয়ে আসে ২৬ তারিখ সকাল ১১ থেকে ১২:০০ টার মধ্যে তাকে হাত-পা বেঁধে মুখে কস্টেপ পেঁচিয়ে পানিতে ফেলে দিয়ে হত্যা করে।
এমএল/