আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:৪০ অপরাহ্ন, ৮ই অক্টোবর ২০২৪
সিরাজগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিবাদী নুরনবী গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এই ঘর নির্মাণ করেছেন বলে জানা গেছে। নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। কিন্তু সে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতে জমিতে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সরেজমিন দেখা গেছে, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ১ নং ওয়ার্ড কান্দাপাড়া চরপাড়া গ্রামে কালিয়া চৌধুরী মৌজার বিরোধপূর্ণ জমিতে আদালতের অনুচ্ছেদ করার স্থাপনার একটি ঘর আবার নির্মাণ করা হয়েছে বলে দেখা যায়।
বাদী পক্ষ জানায় যে গত কয়েক দিন আগেও এখানে কোনো ঘর ছিল না। তাহারা পর্যায়ক্রমে রাতের আধারে ঘর তোলেন, বাদী আকলিমা বলেন, ঘর তোলার কথা শুনে আমি জায়গায় গিয়ে তাদের বলি যে আদালত নিষেধ করেছে, আপনে আবার ঘর উঠান কেন এই কথা বললে আমাকে অনেক খারাপ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রতিমা ভাঙায় জড়িত বাচ্চুকে রাজবাড়ি থেকে গ্রেফতার
মামলার বাদী সাকমান, আকলিমা গং বলেন, এ জমি আমার মায়ের সে আমল থেকে আমরা ভোগ করে আসছি। আমাদের কাছে জমির বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। এরপরও জোর করে আমাদের জমিটি দখলের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। বিরোধপূর্ণ জমিতে আদালতের নিষেধ অমান্য করে রাতে অন্ধকারে ঘর তোলাই এর প্রমাণ। এর আগে দলবল নিয়ে আমার ওপর হামলা করেছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। এ ছাড়া তারা আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
এ বিষয়ে বিবাদী, রাসেদ, ছামু গং তারা বলেন, আমরা ঘর উঠাইনী আগের উঠানো ঘর আদালতের স্যারেরা এসে ভাংগে সেই ঘর ঠিক করি আবার আমরা বাদি হয়ে মামলা দিয়েছি, তারাও দিয়েছে এ দিকে আদালত নিষেধ দিয়েছে, মামলাতে জারা রায় পাবে তারাই ঘর উঠাবে।
আরও পড়ুন: সাধন চন্দ্রের পেট যেন দুর্নীতির গোডাউন
অভিযোগের বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানা সূত্রে জানা যায়, বাদি সাকমান, আকলিমা গং, বীবাদী, ইমান তাং রাসেদ তাং, তোহিদ তাং, ছামু, নুরনবি, সাগর, সজল, বিরুদ্ধে মারপিট ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি দখলের একটা অভিযোগ সিরাজগঞ্জ সদর থানায় হয়েছে বলে জানা যায়।
মামলা তদন্তকাররী কর্মকর্তা বলেন, আমি জিডির তদন্তভার গ্রহন করিয়া সরেজমিনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া বাদীনিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও সাক্ষীদের, জিজ্ঞাসাবাদ করি। বিবাদীদের নাম ঠিকানা যাচাই করি। জিডির বিষয় বস্তুটি তদন্তকালে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণে আদালতে পেশ করি।
এমএল/