হিজাব পরায় শিক্ষা কর্মকর্তার হেনস্তার শিকার স্কুলশিক্ষিকা
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, ১০ই অক্টোবর ২০২৪
হিজাব পরায় শিক্ষা কর্মকর্তার হেনস্থা ও বাজে মন্তব্যের শিকার হয়েছেন এক স্কুলশিক্ষিকা। অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তার নাম মাহমুদুল হক। তিনি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা।
হেনস্থায় শিকার শিক্ষিকার নাম নার্গিস আক্তার (মাহবুবা নার্গিস)। সে উপজেলার ধনাই মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনা, পটুয়াখালীতে চলছে শোকের মাতম
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা জানান, চিকিৎসাকালীন ছুটি নেওয়ার জন্য তিনি শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসে যান। সেখানে শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হক তার সঙ্গে খুব বাজে ব্যবহার করেন। কারণ সে পর্দায় আবৃত ছিলো এবং পর্দা করে চলেন। একপর্যায়ে অফিসে ওই কর্মকর্তা তাকে মুখ খুলতে জোর করলে সে বাঁধা দেন। এসময় ওই কর্মকর্তা ওই শিক্ষিকাকে প্রশ্ন করেন- কোথায় এমন কথা বলা আছে যে, এভাবে পর্দা করতে হবে? ইসলামে এসব নাই। চাকরি করলে এভাবে চলতে পারবে না। মুখ খুলতেই হবেই। প্রতিউত্তরে এ শিক্ষিকা বাচ্চাদের সামনে মুখ খুলেই ক্লাস করেন জানালে তিনি আরো খারাপ আচরণ করেন।
এদিকে শিক্ষা কর্মকর্তার এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়সহ বিভিন্ন মাধ্যমে তার অপসারণ ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ
এর আগে বিষয়টি জানিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকার স্বামী ও স্বজনরা। স্ট্যাটাসে তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পর্দানশীন নারীদের হেনস্থার করছেন শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হক। হিজাব পরিহিত নারীরা কোন কারণে অফিসে গেলে তিনি তাদেরকে হিজাব খুলাতে বাধ্য করেন তিনি। এমনকি পরিদর্শনে বিভিন্ন স্কুলে গেলেও সেখানে মুখ ঢেকে রাখা মহিলাদের নানাভাবে মুখ খুলতে বাধ্য করতেন। যা স্পষ্টত তার বিকৃত মানসিকতা এবং মুসলিম নারীদের শ্লীলতাহানি ও ধর্মীয় অধিকার হরণ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে মাহমুদুল হক খোলা কাগজকে বলেন, এ সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমার অফিসে এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা বলেন, এখনো পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পায়নি। তবে, মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়েছি। ওই কর্মকর্তাকে আমরা ডেকেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেবি/এসবি