মিয়ানমারে যুদ্ধ বিমানের বিকট বিস্ফোরণে কাঁপছে টেকনাফ
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭:১০ অপরাহ্ন, ১৫ই অক্টোবর ২০২৪
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহি গোষ্ঠি আরাকান আর্মি সাথে জান্তা বাহিনীর লড়াই অব্যাহত রয়েছে। মিয়ানমারের মংডু শহর ঘিরে সোমবার থেকে ভেসে আসা বিস্ফোরণের শব্দ মঙ্গলবার শোনা যাচ্ছে।
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের লোকজন জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ বিরতির পর সোমবার (১৪ অক্টোবর) ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যায়। ওই সময় দেখা গেছে আকাশে যুদ্ধ বিমানের চক্করও। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিস্ফোরণের শব্দ শোনা না গেলেও দিবাগত রাত ১ টা থেকে আবারও শুরু হয় বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। যা মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকাল ৩ টা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এ সময় মিয়ানমারের আকাশে যুদ্ধ বিমানের চক্কর দেখা গেছে। বিমানের চক্করের সাথে সাথে ভেসে আসে বিকট শব্দ। এতে কাঁপছে টেকনাফের সীমান্ত এলাকাও।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে আটক থাকা ১৬ বাংলাদেশিকে ফেরত এনেছে বিজিবি
সীমান্তের লোকজন দেয়া তথ্য বলছে, টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এবং সাবরাং এর পূর্বে নাফনদীর ওপারে মংডু শহরের অবস্থান। এটি টানা সংঘাতে এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মির দখলে রয়েছে। এলাকাটি পুনঃদখলের জন্য মিয়ানমারের জান্তারা বিমান যোগে হামলা চালাচ্ছে। এতে ওপারের রোহিঙ্গাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতংকও। যারা মংডু শহরের নাফনদী দিয়ে প্রবেশপথ খায়েনখালী খালের মোহনায় জড়ো হওয়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
সাবরাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর হোছাইন জানান, মিয়ানমারে সংঘাতের পর টানা এক সপ্তাহ পর সোমবার থেকে আগের মতোই বিস্ফোরণের শব্দ আসছে। এখন তা আর বিকট। সীমান্তের ওপারে যুদ্ধ বিমান থেকে বোমা বর্ষণ করছে। ফলে টেকনাফের ঘর-বাড়িও কাঁপছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষক আরিফ হত্যার যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর ৫ দিনের রিমান্ডে
সীমান্তে আগের তুলনায় রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা অনেকটা কমেছে উল্লেখ করে টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত কাছাকাছি হওয়ার কারণে বড় বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তবে সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা রোহিঙ্গাদের আমরা প্রতিহত করছি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাতে আবারও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার রয়েছে।
এমএল/