ঘুর্ণিঝড় ও বৃষ্টিপাতের কবল থেকে ফসল রক্ষায় পরামর্শ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, ২৩শে অক্টোবর ২০২৪
ঘুর্ণিঝড় ও বৃষ্টিপাতের কবল থেকে দণ্ডায়মান ফসল রক্ষার জন্য জরুরি পরামর্শ প্রদান করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. শাহ কামাল খান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞাপ্তিতে কৃষকদের প্রতি পরামর্শ প্রদান করেছেন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) বিশেষ আবহাওয়া বুলেটিনের তথ্য অনুসারে, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আরও পড়ুন: পাবনায় শিম চাষে লোকসানের আশঙ্কা
এ অবস্থায় ২৪-২৬ অক্টোবরের মধ্যে বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ, খুলনা, কুষ্টিয়া, মাগুরা, মেহেরপুর, নড়াইল, সাতক্ষীরা, বরিশাল, বরগুনা, ভোলা, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশের কোথাও কোথাও অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ সাপেক্ষে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দণ্ডায়মান ফসল রক্ষার জন্য জরুরি পরামর্শসমূহ প্রদান করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
পরামর্শগুলো হলো:
আমন ধান ৮০ শতাংশ পরিপক্ক হলে অতিসত্বর কেটে ফেলার পরামর্শ দেয়া হলো। অন্যথায় ঘূর্ণিঝড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
পরিপত্র উদ্যান ফসল ও সবজি দ্রুত সংগ্রহ করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বছরে আয় ৩ লাখ ড্রাগন চাষে সফল খোরশেদ আলম
সেচ নালা পরিষ্কার রাখতে হবে যাতে ধানের জমিতে অতিরিক্ত পানি জমে না থাকে।
ক্ষেতের চারপাশে উচু বাঁধ দিতে হবে যাতে পানির স্রোত দন্ডায়মান ফসলের ক্ষতি করতে না পারে।
ঘূর্ণিঝড় চলে যাওয়ার পর অতি বৃষ্টি ও ঝড়ে যে গাছগুলি মাটিতে পড়ে যাবে তা অতি দ্রুত উঠিয়ে ফেলতে হবে। যেহেতু ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় বীজ ও চারা ভেসে যেতে পারে তাই এই মূহুর্তে বীজ বপন ও চারা রোপণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
সেচ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ আপাতত বন্ধ রাখতে হবে।
গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগী নিরাপদ উচ্চ স্থানে স্থানান্তরিত করতে হবে।
মৎস্যজীবিদের সমুদ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হলো।
জেবি/এসবি