বাগেরহাটে থেমে থেমে বৃষ্টি, দমকা হওয়া, মোংলা বন্দরে অ্যালার্ট জারি
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:২১ অপরাহ্ন, ২৪শে অক্টোবর ২০২৪
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বাগেরহাট জেলাজুড়ে থেমে থেমে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি অভ্যাহত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন।
সভা থেকে জেলার নদী তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সড়িয়ে নেওয়া জন্য ৩৫৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি জেলায় ৮০০ মেট্রিকটন চাল, নগদ ১৫ লাখ টাকা, শিশুখাদ্যের জন্য ৫ লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য ৫ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় 'ডানা', বাড়লো সতর্ক সংকেত
এছাড়া উপকূলের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য ৩ হাজার ৫০৫ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রয়েছে বলে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান নিশ্চিত করেছেন।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হারুন অর রশিদ জানান, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। ফলে মোংলাসহ সব সমুদ্রবন্দরকে স্থানীয় ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড ও গণসংযোগ বিভাগের উপসচিব মো. মাকরুজ্জামান জানান, ৩ নম্বর সতর্ক সংকেতের মধ্যেও মোংলা সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় দানার খবর ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী ৪৮ ঘণ্টা কেমন থাকবে আবহাওয়া?
বন্দরে অবস্থানরত সকল প্রকার বাণিজ্যিক জাহাজসহ বন্দরের নিজস্ব নৌযানগুলোকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে বন্দরে অবস্থানরত আটটি জাহাজে সার, কয়লা ও ক্লিংকারসহ বেশ কয়েক প্রকার পণ্য খালাসের কাজ স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দরে এখন নিজস্ব ১ নম্বর অ্যালার্ট চলছে, ৩ পর্যন্ত বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।
আরএক্স/