চট্টগ্রামের ১৩ জন উপদেষ্টা নেওয়ায় সারজিসের ক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৩ অপরাহ্ন, ১৬ই নভেম্বর ২০২৪
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ১৩ জন উপদেষ্টা নেওয়া হয়েছে। অথচ রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে কাউকেই উপদেষ্টা পরিষদে নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই তিন বিভাগ থেকে কী একজনও নেই, যিনি মন্ত্রণালয় চালানোর যোগ্য ব্যক্তি। অঞ্চলবৈষম্য মেনে নেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি হলরুমে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের মাঝে চেক প্রদান অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আ.লীগসহ ২৬ দলের মতামত না চাওয়ার ব্যাখ্যা দিল সংস্কার কমিশন
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সারোয়ার ফারুকীকে নিয়োগের সমালোচনা করে সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ফারুকী তার পুরো সময়ে ক্ষমতায় কাছাকাছি থাকার জন্য যেভাবে তোষামদি করার দরকার তা করেছেন। এই ফারুকীরা কীভাবে এই উপদেষ্টা পরিষদে আসেন। এ রকম কঠিন সময়ে নীরব থাকা ও গা বাঁচিয়ে চলা লোকজনকে আমরা উপদেষ্টা হিসেবে কখনোই দেখতে চাই না।
একই অনুষ্ঠানে সারজিস আলমের বক্তব্যের পর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন মুর্শিদ বলেন, আমরা দেশ নিয়ে ভাবছি। অঞ্চলভিত্তিক ভাবনাগুলো আমাদের সংকুচিত করে দেয়, সংকীর্ণ করে দেয়। আপনারা আঞ্চলিকভাবে চিন্তা করবেন না। এটা যদি করেন, তাহলে আপনারা নিজেদের ছোট করে ফেলবেন। দেশের প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টা যাদের মনে করেছেন উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত করা দরকার, তাদের যুক্ত করা হয়েছে। কাউকে ছোট বা বড় করে নয়।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার আরও ২ মাস বাড়ল
চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে অনেক উপদেষ্টা নিয়োগ প্রসঙ্গে শারমিন মুর্শিদ বলেন, এটা কোনো বৈষম্য নয়। এভাবে দেখা বন্ধ করুন। এই এলাকায় যতখানি মেধা, শ্রম ও অর্থ দেব, তা অন্য এলাকাতেও দেব। আমাদের সমালোচনা করুন। আমরা সেগুলো শুধরিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে রংপুর বিভাগের সব শহীদ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহযোগিতার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার, জুলাই শহীদ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ প্রমুখ।
এমএল/