আ.লীগসহ ২৬ দলের মতামত না চাওয়ার ব্যাখ্যা দিল সংস্কার কমিশন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৪ অপরাহ্ন, ১৬ই নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ ২৬টি দলের কাছে মতামত না চাওয়ার কারণ জানিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ক কমিশন। কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার জানান, সরকার নির্ধারিত কার্যপরিধির ভেতর থেকে কাজ করাই তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের সভাকক্ষে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রসির (আরএফইডি) সদস্য সাংবাদিকদের সঙ্গে সংস্কার কমিশন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ ব্যাখ্যা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার আরও ২ মাস বাড়ল
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, শুধুমাত্র ২২টি দলের মতামত নেওয়ার বিষয়টি সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এ নিয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে।
এসময় ৪৮টি দলের মধ্যে শুধুমাত্র ২২টি দলের কাছে সংস্কার প্রস্তাব চাওয়ার বিষয়টা বৈষম্য হলো কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আপনারা সরকারকে জিজ্ঞেস করেন, এটা নিয়ে আমরা আরেকদিন সংবাদ সম্মেলন করব। আমরা অনেকের কাছে মতামত নিচ্ছি। আমরা সরকারের অভিপ্রায়, সরকারকে জিজ্ঞেস করেন। আমরা চেষ্টা করছি, সব দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে একটা সুপারিশ যেন করতে পারি।
সরকারের সিদ্ধান্ত যদি কমিশনের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে কেমন সংস্কার পাবো এমন আরেকটি প্রশ্নের জবাবে কমিশন প্রধান বলেন, এই কমিশনগুলো সরকার গঠন করেছে এবং একটা কার্যপরিধি নির্ধারণ করে দিয়েছে। আমাদের করণীয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের দুটি কিডনিই খেয়ে ফেলেছে সাবেক সরকার: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
তিনি আরও বলেন, সরকারের অভিপ্রায় অবশ্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সব মতপথের ব্যক্তির মতামত নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের কোনো নিজস্ব এজেন্ডা না থাকায় প্রত্যেকের মতামত দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কারো পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো বিশেষ দলের বা বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য আমরা একত্রিত হইনি। এই যে টিম আমাদের, আমরা বলিষ্ঠভাবে কাজ করছি।
ড. বদিউল আলম মজুমদার আরও বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে ওয়েবসাইট ও ই-মেইলে মতামত দেওয়া যাবে। দেড় হাজারের মতো প্রাণহানি হয়েছে। ২০-৩০ হাজার ব্যক্তি আহত হয়েছে। তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা এই সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি। আমরা যেন তাদের রক্তের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা না করি। আমরা তাদের রক্তের ঋণ শোধ করার জন্য বদ্ধপরিকর। আমাদের কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই।
মতবিনিময় সভায় রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রসির (আরএফইডি) সভাপতি একরামুল হক সায়েমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সদস্য সাংবাদিক এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ক কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এমএল/