পঞ্চগড়ে সন্ধ্যা হলেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা

তবে ধীর পায়ে ধীরে ধীরে শীত জানান দিচ্ছে তার আগমনী বার্তা
বিজ্ঞাপন
হিমালয় কন্যা খ্যাত পঞ্চগড়ে সকালেই পূর্ব দিগন্তে সূর্যিমামার উঁকি। মুহূর্তেই সোনালী আলোতে ভরে যায় জনপদ। উত্তরের ঠান্ডা বাতাস তখনো বয়ে যায় থেমে থেমে। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সূর্যের তেজ। দিনে সূর্যের কড়া তেজ দেখে কখনও মনে হবে না পঞ্চগড়ে শীত এসেছে। এ জেলায় বর্তমানে শীতের তীব্রতা থাকছে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত। দিনের বেলা আবার উল্টো চিত্র। তবে ধীর পায়ে ধীরে ধীরে শীত জানান দিচ্ছে তার আগমনী বার্তা। হেমন্তেই কমে আসছে তাপমাত্রা। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) এই মৌসুমে পঞ্চগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্তমানে এ বছরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমে আসছে উত্তরের এ জনপদে। রাতে চলছে কুয়াশাপাত। কোন কোন দিন হালকা কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারপাশ। তবে সকালেই মিলে সূর্যের দেখা। দিনের বেলা তাপমাত্রা উঠে যায় ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
এ দিকে শীত অনুভূত হওয়ায় সন্ধ্যার পর গরম কাপড় ছাড়া বাইরে কোনোমতেই বের হওয়া যাচ্ছে না। শীতের কাপড়ের দোকানেও বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। তবে দুর্ভোগের শীত এখনও শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন এ এলাকার মানুষ। বর্তমানের শীতে তারা চলাফেরা করতে অভ্যস্ত বলেও জানান অনেকে। তবে এর চেয়ে শীতের তীব্রতা বাড়লে তা অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বেশ কষ্টকর হয়ে পড়ে।
বিজ্ঞাপন
পঞ্চগড় শহরের ভ্যান চালক বলেন, রাতে গরম কাপড় ছাড়া বাইরে বের হওয়া যায় না। আবার দিনে গরমে কাপড় রাখা যায় না এমন একটি অবস্থা। তবে এখনকার শীত সহ্য করা যায়। এর চেয়ে বেশি হলে আমাদের জন্য খুব কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
বিজ্ঞাপন
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীতেন্দ্রনাথ রায় গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমানে পঞ্চগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। আগামীতে দিনের তাপমাত্রা হ্রাস ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী গণমাধ্যমকে বলেন, এবার পঞ্চগড়ের অসহায় দরিদ্র শীতার্তদের জন্য ১ লাখ শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২ হাজার শীতবস্ত্র আমরা পেয়েছি। তা বিতরণ শুরু করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এমএল/