বাংলাদেশি রোগীর অভাবে ভারতে চিকিৎসা ব্যবসায় ধ্বস

পুরোনো রোগী, যাদের এখানে চেকআপ আছে, তারাই ভিসা পাচ্ছেন
বিজ্ঞাপন
গত ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এরপর দেশে রাজনৈতিক পট পরির্বতনের পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ ভারতে উল্লেখযোগ্য হারে কমতে থাকে বাংলাদেশি রোগীদের আনাগোনা। এর ফলে সেখানকার হাসপাতালগুলোতে একপ্রকার সুনশান নীরবতা চলছে। বিশেষ করে যেসব হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের ওপরে অনেকটাই নির্ভরশীল ছিল, তারা চরম বিপাকে পড়েছে।
পূর্ব ভারতের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সংগঠনের বরাতে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে রোগী যাওয়া প্রায় ৭০ শতাংশ কমে যাওয়ায় কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন শহরে হাসপাতাল ব্যবসায় ব্যাপকহারে ধস নেমেছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব হসপিটালস অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট ও কলকাতার উডল্যান্ডস হসপিটালের প্রধান নির্বাহী অফিসার রূপক বড়ুয়া বলেন, আগে প্রতিমাসে গড়ে ভারতের মেডিকেল ভিসা দেওয়া হতো ২০-২৫ হাজার। এখন সেটা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৭০০ থেকে ১ হাজারে। তা-ও সব নতুন রোগী নয়। পুরোনো রোগী, যাদের এখানে চেকআপ আছে, তারাই ভিসা পাচ্ছেন।
বিষয়টি নিয়ে ভারতের অন্যতম বৃহৎ হাসপাতাল গোষ্ঠী মনিপাল হসপিটালসের পূর্বাঞ্চলীয় চিফ অপারেটিং অফিসার ডা. অয়নাভ দেবগুপ্তের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক বিষয় যে বাংলাদেশ থেকে বহু রোগী ভারতের হাসপাতালগুলোতে আর আসতে পারছেন না। তবে আমাদের যারা পুরোনো রোগী, তাদের চিকিৎসায় যাতে কোনো ভাটা না পড়ে, সেজন্য আমরা টেলিমেডিসিনের ব্যবস্থা করেছি। বর্তমানে অনলাইন কনসালটেশনের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ ভারতে চিকিৎসা নিতে যান। সেখানে যত বিদেশি নাগরিক চিকিৎসা করাতে যান, তাদের মধ্যে বাংলাদেশিই ছিলেন সর্বাধিক।
এমএল/








