ভারতের ত্যাগের কারণে বাংলাদেশ অনেক কিছু অর্জন করেছে: প্রণয় ভার্মা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, ৭ই ডিসেম্বর ২০২৪
১৯৭১ সালে আমাদের করা ত্যাগের কারণে গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশ অনেক কিছু অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ঐতিহাসিক ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভারতের সামরিক ও কূটনৈতিক ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এ সময় প্রণয় ভার্মা বলেন, গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশ অনেক কিছু অর্জন করেছে, যা সম্ভব হয়েছে ৫৩ বছর আগে করা আমাদের ত্যাগের কারণেই। ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশ এবং ভারত অনেক দূর এগিয়েছে, উন্নতি করেছে দ্রুতগতির সাথে। দ্রুতগতির অর্থনীতি, ধারাবাহিক উন্নতি, মানুষের উন্নত ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষার উন্নয়ন দুই দেশের মধ্যে নতুন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে; যা আজ আমাদের বহুমুখী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক একে অপরের উন্নয়নের পরিপূরক।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনে ভারতের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করব: সোহেল তাজ
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারত। ইতিহাসগতভাবেই ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক স্মরণীয় ঘটনা রয়েছে। কারণ, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ১০ দিন আগেই ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ওই তারিখটি দুই দেশের অংশীদারত্বের একটি বড় চিহ্ন।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন পরিবর্তন, পেশাগত চ্যালেঞ্জ এবং বিভিন্ন উত্থান-পতন থাকা সত্ত্বেও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক অটুট আছে। আমাদের এই সম্পর্ক টিকে আছে দুই দেশের সংবেদনশীলতা, বিশ্বাস ও শ্রদ্ধায়। আমাদের সুসম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস যেখানে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি পরস্পরের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ, গঠনমূলক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য সর্বদা চেষ্টা করেছি। এর ভিত্তি ছিল সমতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক বোঝাপড়া।
আরও পড়ুন: ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশের ড্রোন মোতায়েনের সংবাদটি ভিত্তিহীন
ভারতের হাইকমিশনার আরও বলেন, আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের দুই দেশের জনগণ প্রধান অংশীদার এবং যে সম্পর্ক আমরা তৈরি করেছি, তার প্রধান উদ্দেশ্য দুই দেশের জনগণের উন্নয়ন। এতে দুই দেশের জনগণই উপকৃত হবে। দুই দেশের বর্ডার ট্রান্সপোর্ট, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সঞ্চালন, আমাদের অর্থনৈতিক সংযোগ, এগুলো সবই মূলত আমাদের জনগণের সমৃদ্ধি তৈরি করে এবং তাদের কল্যাণে বিশেষ অবদান রাখে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-ভারতের জাতীয় সঙ্গীতসহ বিভিন্ন রণসঙ্গীত ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা। বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন পাহাড়ীর (বীর প্রতীক) সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এরশাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির সাবেক পরিচালক মনিরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজির আহমেদ চৌধুরী, বাচিকশিল্পী টিটু মুনশী প্রমুখ।
এমএল/