স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনে ভারতের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করব: সোহেল তাজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৩ অপরাহ্ন, ৭ই ডিসেম্বর ২০২৪
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইন্ধন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনে ভারতের বিরুদ্ধেও আমরা যুদ্ধ করব।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় সোহেল তাজ বলেন, শেখ হাসিনাকে ভারত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশে নিযুক্ত করে রেখেছিল। তাই দেশ থেকে উৎখাতের পর তিনি সেখানেই চলে গেছেন। আর তাকে উৎখাত মানেই ভারতকে বিতাড়ীত করা।
আরও পড়ুন: ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশের ড্রোন মোতায়েনের সংবাদটি ভিত্তিহীন
তিনি বলেন, জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ অনেকটা মাফিয়া কায়দায় রাষ্ট্র ও দল পরিচালনা করেছে। জনগণ ব্যাপকভাবে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় প্রস্তুত হয় বিস্ফোরণের প্রক্রিয়া। এর চূড়ান্ত বিস্ফোরণ ঘটে জুলাই-আগস্টে ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে। ইকো চেম্বার পার্টি আওয়ামী লীগ জনগণের সাহসী এই মনোভাব বুঝতে পারেনি। ফলে দেশত্যাগ ছাড়া তাদের সামনে আর বিকল্প কোনো উপায় ছিল না।
আওয়ামী লীগ এবং সকল রাজনৈতিক দলকে আত্মসমালোচনা করার আহ্বান জানিয়ে সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আত্ম উপলব্ধি করে অনুশোচনা খুবই প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে ও দলের সশস্ত্র কর্মী দিয়ে ২ হাজারেরও বেশি মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছে। ৬০০এর বেশি মানুষ অন্ধ হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। দেশের ইতিহাসে এমন নির্মম নিষ্ঠুর ও জঘন্যতম গণহত্যা আর কখনো হয়নি। শেখ হাসিনার স্বৈরশাসকের মাত্রাও পেরিয়ে গেছেন। তিনি নির্বিচারে শিশু হত্যা করেছেন, যুদ্ধেও এত বেশি শিশু নিহত হয় না। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার এরকম অপচেষ্টা আগে কেউ কখনোই করেনি।
আরও পড়ুন: ভারতকে বাংলাদেশ ভয় পায় না: উপদেষ্টা ফরিদা
আওয়ামী লীগের ঝটিকা কর্মসূচির বিষয়ে সোহেল তাজ বলেন, এটি আওয়ামী লীগকে ধ্বংস ও নিরীহ কর্মীদের বিপদে ফেলার আরেকটি নির্লজ্য প্রচেষ্টা মাত্র। কেননা এর মধ্য দিয়ে যারা এই দলটাকে ডুবিয়েছে তারাই পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসতে চাচ্ছে। কিন্তু এটি অসম্ভব ব্যাপার।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সোহেল তাজ বলেন, কিছু অর্থবহ সংস্কারের পর দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ কিংবা বাদ দিয়ে নির্বাচন সংগঠিত করাটা ঠিক হবে না।
আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যখন আত্মোপলব্ধি, আত্মসমালোচনা, অনুশোচনা ও জনগণের কাছে ক্ষমা চাইবে; অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হবে– তখন আমি বিষয়টি বিবেচনায় নিতে পারি, তার আগে কখনোই নয়।
এমএল/