২৫ পার হলে নারীদের যে ভিটামিন প্রয়োজন


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ১২:৩৯ অপরাহ্ন, ৯ই ডিসেম্বর ২০২৪


২৫ পার হলে নারীদের যে ভিটামিন প্রয়োজন
সংগৃহীত

নারীদের বয়স ২৫ পার হলে তারা জীবনের একটি পরিবর্তনশীল পর্যায়ে প্রবেশ করে। যেখানে স্বাস্থ্য, কাজ ও ব্যক্তিগত দায়িত্বের ভারসাম্য বজায় রাখা আর্দশ হয়ে উঠে। তবে এই তাড়াহুড়োর মাঝখানে, সুস্বাস্থ্যের মূল ভিত্তি- সঠিক পুষ্টির কথাই ভুলে যায়। শক্তির সঠিক মাত্রা ঠিক রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ত্বক, চুল, হাড় সুস্থ রাখতে ভিটামিনের ভূমিকা অপরিসিম। যদি আপনি একজন নারী হন আর বয়স ২৫ এর বেশি, তাহলে আপনার খাবারের তালিকায় এই খাবারগুলো রাখতে হবে-


আরও পড়ুন: যেসব কারণে আপনার ডায়েট প্লান কাজ করছে না


১. ভিটামিন সি


ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে এটি ত্বককে উজ্জ্বল রাখার জন্য একটি গোপন অস্ত্রও বটে। ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে জন্য সাহায্য করে, যা ত্বককে দৃঢ় করে ও তারুণ্য ধরে রাখে। এছাড়াও ভিটামিন সি শরীরকে আয়রন শোষণ করতে সাহায্য করে থাকে, যা নারীদের মাসিকের সময় বেশি প্রয়োজন। প্রাকৃতিক ভিটামিন সি-এর পরিমাণ বাড়াতে ডায়েটে সাইট্রাস ফল, স্ট্রবেরি, বেল মরিচ এবং ব্রকলি যোগ করুন।


২. ভিটামিন ডি


হাড় এবং দাঁত বজায় রাখার জন্য ভিটামিন ডির ভূমকি অত্যাবশ্যক। নারীদের ২৫- এর পর ব্যস্ত সময়সূচীর কারণে পর্যাপ্তপরিমান সূর্যালোক মিস করে থাকে।  সূর্যালোকের এই অভাব ধীরে ধীরে হাড়কে দুর্বল করে দিতে পারে, যা পরবর্তী জীবনে অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়। ২০১৩ সালে করা একটি অনুসন্ধানে, নারীরা অস্টিওপরোসিস এবং ফ্র্যাকচারের কারণে মৃত্যু ও অসুস্থতার সম্মুখীন হয়ে থাকে, যা ভিটামিন ডি-এর মাধ্যমে হ্রাস করা যেতে পারে। দুধ, ডিম এবং স্যামনের মতো চর্বিযুক্ত মাছের মতো খাবার সাহায্য করতে পারে, তবে পর্যাপ্ত না পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।


৩. ভিটামিন বি ১২


আপনি যদি ঘন ঘন ক্লান্ত অনুভাব করেন অথবা কাজে মনোযোগ দিতে সমস্যা হয় তবে তার জন্য ভিটামিন বি ১২ এর অভাব দায়ী হতে পারে। এ ভিটামিন লোহিত রক্ত ​​কণিকার উৎপাদন এবং স্নায়ুর কার্যকারিতায় সাহায্য, উভয়ই শক্তিশালী ও তীক্ষ্ণ থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৩ সালের একটি গবেষণা পত্রের ফলাফল তুলে ধরে যে, নারীদের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশেরও কম ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে ভুগছে। এটি মূলত ডিম, মাংস এবং দুগ্ধজাত প্রাণির পণ্যগুলিতে পাওয়া যায়, তাই নিরামিষাশীদের সুরক্ষিত খাবার বা সম্পূরক বেছে নেওয়া উচিত।


৪. ভিটামিন ই


আপনার যদি স্বাস্থ্যকর, উজ্জ্বল ত্বক অগ্রাধিকার হযে থাকে তবে ভিটামিন ই-যুক্ত খাবার নিয়মিত খাওয়া প্রয়জন। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত, এটি UV রশ্মি এবং দূষণের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এটি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী রাখতেও সাহায্য করে থাকে। বাদাম, বীজ, পালং শাক এবং সূর্যমুখী তেলে আপনি ভিটামিন ই পেতে পারেন।


৫. ভিটামিন কে


ভিটামিন কে ক্ষত নিরাময়ের জন্য প্রয়জন, কারণ এটি সুস্থ রক্ত ​​জমাট বাঁধতে সহায়তা করে। ভিটামিন কে ক্যালসিয়াম শোষণ ও হাড়ের শক্তি বাড়ায়, এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যও একটি গুরুত্ব ভূমিকা রাখে। সামঞ্জস্যপূর্ণ মাত্রার জন্য ব্রোকলি, পালং শাক ইত্যাদি বেছে নিন।


আরও পড়ুন: শীতে ঠান্ডা পানি পান করলে আসলে কী হয়?


৬. ফোলেট (ভিটামিন বি ৯)


প্রজননের জন্য ফোলেট গুরুত্বপূর্ণ, এমনটাই বলছে গবেষণা। এটি কোষের বৃদ্ধি বাড়ায় ও বিভিন্ন জন্মগত অস্বাভাবিকতা দূর করে। এমনকি যদি আপনি অতি তারা তারি সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা না করেন, তবুও সামগ্রিক কোষ মেরামত এবং কার্যকারিতার জন্য ফোলেট প্রয়োজনীয়। সবুজ শাক, মটরশুটি ইত্যাদি ফোলেটের ভালো উৎস।


এসডি/