চুল লম্বা করে যে খাবারগুলো
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, ১২ই ডিসেম্বর ২০২৪
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বা অত্যধিক চাপ অথবা রাসায়নিকের ব্যবহার চুল পড়া এবং চুল বৃদ্ধি না পাওয়ার একটি সাধারণ সমস্যা। তবে মাঝে মাঝে এ অবস্থা আরও বেড়ে যায় এবং গুরুতর উদ্বেগে পরিণত হয়। চুলের স্বাস্থ্য আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য সুস্থতার ওপর নির্ভর করে। পুষ্টিকর, সুষম খাদ্য চুলের বৃদ্ধির উন্নতিতে এবং চুল পড়া রোধে ও চুলের বৃদ্ধিতে অতিগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভিটামিন, খনিজ ও স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত কিছু খাবার আছে যা চুলের ফলিকলকে পুষ্ট করে, মাথার, ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং চুলের সামগ্রিক শক্তি বাড়ায়। জেনেনিন চুল লম্বা করে যে খাবারগুলো-
আরও পড়ুন: শীতে ব্রণ বাড়লে যা করবেন
১. বাদাম এবং বীজ
বাদাম ও বীজ, বিশেষ করে আখরোট, বাদাম, চিয়া বীজ এবং ফ্ল্যাক্সসিড পুষ্টিতে পূর্ণ যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এসব ভিটামিন ই সমৃদ্ধ, যা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। জিঙ্ক চুলের ফলিকল এবং বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপর্ন্য। আখরোট এবং ফ্ল্যাক্সসিডে পাওয়া ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মাথার ত্বকের প্রদাহ কমাতে কাজ করে থাকে।
২. ডিম
বায়োটিনের একটি চমৎকার উৎস হলো ডিম। এটি ভিটামিন-বি যা চুলের বৃদ্ধিতে কার্যকর। বায়োটিন কেরাটিন উৎপাদনে সহায়তা করার জন্য পরিচিত। এ প্রোটিন চুল, ত্বক ও নখ তৈরিতে সাহায্য করে। ডিম উচ্চ মানের প্রোটিন দিয়ে পরিপূর্ণ, যা চুলের গঠন ও শক্তির জন্য অত্যাবশ্যক। এছাড়াও ডিমে জিঙ্ক, আয়রন এবং সেলেনিয়াম রয়েছে, যা চুলের স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ন্য ভুতিকা রাখে।
৩. গাজর
গাজর বিটা-ক্যারোটিনের একটি উৎস, যা শরিরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন এ সিবাম উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে মাথার ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে, যা প্রাকৃতিকভাবে চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে ও পুষ্টি দেয়। এছাড়াও গাজর বায়োটিন সরবরাহ করে, এটি একটি মূল পুষ্টি যা চুলের বৃদ্ধি এবং শক্তি বাড়ায়।
৪. পালং শাক
পালং শাক পুষ্টিসমৃদ্ধ একটি সবুজ শাক যা স্বাস্থ্যকর চুলের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ন্য ভুমিকা রাখে। এতে শাকে আছে আয়রন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ফোলেট, যা চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়। আয়রন মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ন্য। ভুমিকা রাখে এর ফলে চুলের ফলিকল প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও পুষ্টি গ্রহণ করে। ভিটামিন এ সিবাম উৎপাদন বাড়ায়, যা মাথার ত্বককে ময়েশ্চারাইজড করে এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে , চুল শুষ্কতা এবং ভাঙা প্রতিরোধ করে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন মুখের ক্যানসারের ৫ লক্ষণ
৫. মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ, এটি শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত করে। ভিটামিন এ মাথার ত্বকে স্বাস্থ্যকর সেবাম উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে, যা চুলকে পুষ্ট রাখে এবং চুলকে শুষ্ক ও ভঙুর হতে বাধা দেয়। বিটা-ক্যারোটিনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য চুলের ফলিকলকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
এসডি/