শীতকালীন সবজিতে বাজার সয়লাব, দাম নাগালের বাইরে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৯ অপরাহ্ন, ১৩ই ডিসেম্বর ২০২৪
রাজধানীর কাঁচাবাজারে শীতকালীন শাক-সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে এখন শীতকালীন সবজিতে ভরপুর, দামেও এসেছে কিছুটা স্বস্তি। কিছু কিছু সবজি ৮০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও অধিকাংশ সবজি এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। শীতের এই সময়ে সবজির দাম আরও কিছুটা কমার কথা থাকলেও উর্ধ্বগতির বাজারে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে সবজি।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, মালিবাগ ও বাসাবোর কয়েকটি বাজার সরেজমিনে ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমেই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আর কয়েক দিনের মধ্যেই বাজারে শীতকালীন সবজি বেশি করে আসতে শুরু করবে। তখন সবজির দাম অনেক কমে আসবে বলে ধারণা তাদের।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম বাড়লো লিটারে ৮ টাকা
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, টমেটো ১২০ টাকা, কাঁচা মারিচ ১০০ টাকা, বিচিওয়ালা শিম প্রতি কেজি ১০০, করোলা ১০০ টাকা, শসা কেজি ৮০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, মুলা কেজি ৩০ টাকা, পেঁয়াজের পাতা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
এ ছাড়া বাজারে বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, মাঝারি সাইজের ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, বাঁধা কপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, সাধারণ শিম কেজি ৫০ টাকা, শালগম ৫০ টাকা এবং পেঁয়াজের ফুল প্রতি মুঠো ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা মোবারক বলেন, যেভাবে কমার কথা ছিলো সেভাবে এখনো কমেনি। অন্যান্য বছর সবজির দাম যেভাবে কমে এবার সেভাবে কমেনি। অন্য বছর সবজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে চলে আসে, এবার এখনও পর্যন্ত আসেনি। তবে দাম আগের চেয়ে দাম কিছুটা কম।
কারওয়ান বাজারে মগবাজার থেকে বাজার করতে আসা মামুন বলেন, টমেটোর কেজি এখনো প্রায় ১৫০ টাকা। শশা ও গাজরের দামও অনেক বেশি। সবজির দাম আর কমলো কই?
আরও পড়ুন: আবারও বেড়েছে আলুর দাম, স্বস্তি নেই সবজিতেও
বন্যা নামের এক গৃহবধূ বলেন, কিছু সবজির দাম কমলেও অনেক সবজির দাম এখনও বেশিই রয়েছে। ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে সবজি কেনা গেলে বলা যেতো যে দাম কমেছে।
এদিকে কারওয়ান বাজের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ থেকে থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এই বাজারে পাবনার দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতেও দেখা গেছে। এছাড়া চায়না আদা ১৬০ টাকা, চায়না রসুন ২১০ থেকে ২২০ টাকা, নতুন আদা ১০০ থেকে ১১০ ও নাটোরের রসুন ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৷ গত কয়েক মাসের বাজারদর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পাইকারিতে আদার দাম কিছুটা কমেছে। রসুনের দাম প্রায় আগের মতোই রয়ে গেছে।
এ ছাড়া গরুর গোসত ৭৫০ টাকা কেজি ও খাশি ১১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারটিতে ফার্মের মুরগি ১৮০ টাকা, পাকিস্তানি ৩১০, দেশি ৫২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: কমেছে মুরগি-মাছ-সবজির দাম, চাল-আলুর বাজারে অস্বস্তি
এই বাজারের মুরগি বিক্রেতা রিপণ বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। আজ ১৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। অন্যান্য বাজারেও মাংসের দাম প্রায় একই রকম রয়েছে। আর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে।
এমএল/