১৬ ডিসেম্বরে কুচকাওয়াজ নয়, জেলা-উপজেলায় হবে 'বিজয় মেলা'


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:০৭ অপরাহ্ন, ১৪ই ডিসেম্বর ২০২৪


১৬ ডিসেম্বরে কুচকাওয়াজ নয়, জেলা-উপজেলায় হবে 'বিজয় মেলা'
ফাইল ছবি

এবার জাতীয় পর্যায়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে । দেশের সব জেলা ও উপজেলায় দিনব্যাপী চারু, কারু ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিল্প পণ্যের প্রদর্শনীসহ হবে বিজয়মেলায়।


শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সংক্রান্ত তথ্য জানানো হয়।


এতে বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।


আরও পড়ুন: সমতার ভিত্তিতে সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা


দিনটি সরকারি ছুটির দিন থাকায় সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। পাশাপাশি আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলো। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হবে।


এদিন বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনৈতিক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।


দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী দিবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এ দিন সংবাদপত্র বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।


আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ ধারণ করে অন্তর্র্বতী সরকার : শফিকুল ইসলাম


এ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে বলে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।


এ ছাড়াও দেশের সব জেলা ও উপজেলায় দিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ বিজয় মেলা (চারু, কারু ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিল্প পণ্যের) আয়োজন করা হয়েছে। শিশুদের জন্য থাকবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একই ধরনের বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হবে।


বঙ্গভবনে এদিন বিকেলে বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এ ছাড়াও মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এ উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদনসহ এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।


আরও পড়ুন: রাজনীতিবিদ-আমলা-ব্যবসায়ীরা মিলে লুটপাট চালিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে: ড. তামিম


চট্টগ্রাম, খুলনা, মংলা ও পায়রা বন্দর, ঢাকার সদরঘাট,পাগলা (নারায়ণগঞ্জ) ও বরিশালসহ বিআইডব্লিউটিসির ঘাটে এবং চাঁদপুর ও মুন্সীগঞ্জ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজ দুপুর ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এদিন দেশের সব শিশু পার্ক ও জাদুঘর বিনা টিকিটে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। এ ছাড়া সিনেমা হলে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।


এমএল/