উত্তরা ও তুরাগ নদ এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, ১৮ই ডিসেম্বর ২০২৪


উত্তরা ও তুরাগ নদ এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
ছবি সংগৃহীত

মঙ্গলবার গভীর রাতে গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠ দখল নিয়ে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের আরো শতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উত্তরা ও তুরাগ নদ সংলগ্ন এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।পুলিশ (ডিএমপি)।


আরও পড়ুন: ওবায়দুল কাদেরের দেশে লুকিয়ে থাকার কথা জানত না সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা



বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায়‌ জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে বুধবার দুপুর ২টা থেকে কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হলো।

 

এদিকে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কাকরাইল মসজিদ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ এবং র‍্যাব। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে সকাল থেকে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।



বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক বলেন, কাকরাইল মসজিদ ও আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত আছে।


এ বিষয়ে র‍্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফয়জুল ইসলাম বলেন, ‘টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কাকরাইল মসজিদ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় র‍্যাব-৩ নিরাপত্তা জোরদার করেছে।’


এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টঙ্গীতে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার সকালে বিজিবি জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।


আরও পড়ুন: সংস্কার কার্যক্রমে ইইউর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে: সংস্কার কমিশন


মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) মধ্যরাতের দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে তিন জন মারা যান।

সংঘর্ষে নিহতরা হলেন– কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু এলাকার বাচ্চু মিয়া (৭০), ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল (৬০) ও বগুড়ার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম (৬৫)। সংঘর্ষে আহত ৪০ জন ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।


এসডি/