বিয়ে না করলে প্রেমিকের বাড়িতেই আত্মহত্যা করবেন দুই সন্তানের জননী !
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:২৫ অপরাহ্ন, ১৯শে ডিসেম্বর ২০২৪
কুষ্টিয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন দুই সন্তানের জননী এক নারী।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সদর উপজেলার হাটশহরিপুর ইউনিয়নের বোয়ালদহ মোড় এলাকায় প্রেমিক মেহেদী হাসান রিংকু বাড়িতে অনশনে বসেন ওই দুই সন্তানের জননী। অভিযুক্ত মেহেদী হাসান রিংকু একই এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। এঘটনার পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন রিংকু।
আরও পড়ুন: খুলনা পাইকগাছায় এজলাস কক্ষে অগ্নিকাণ্ড
ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনি কুষ্টিয়া শহরের একটি মেসে থাকতেন। তার স্থায়ী বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার এলেঙ্গিপাড়ায়। তার ১টি মেয়ে ও ১টি ছেলে সন্তান রয়েছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী নিজেই বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, রেলস্টেশনে ট্রেনে একসাথে ভ্রমনের সময় দুই সন্তানের জননী আশার সাথে রিংকুর পরিচয় হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মেহেদী হাসান রিংকুর সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিলো । এরপর থেকে তাদের দুজনের মোবাইল ফোনে কথা হয়। কথা বলার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যাওয়া ও শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে তাদের। একসময় বিয়ের জন্য ওই নারী রিংকুকে চাপ দিতে থাকেন। তখন নানা টালবাহানা শুরু করেন অভিযুক্ত রিংকু। বিয়ের দাবিতে ওই নারী বৃহস্পতিবার সকালে ছুটে আসেন প্রেমিক রিংকুর বাড়িতে। তাকে বিয়ে না করলে প্রেমিক রিংকুর বাড়িতেই আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দিচ্ছেন ওই নারী।
আরও পুড়ন: পাইকগাছায় পুলিশের টহল গাড়িতে ককটেল হামলা, আটক ৪
ভুক্তভোগী নারী বলেন, বিয়ের প্রলোভনে আমার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক করেছে রিংকু। এখন বিয়ে না করলে আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারব না। মরা ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই। সে আমাকে বিয়ের প্রোলভনে আমার আগের স্বামীর সংসার ছাড়িয়েছে। শহরের একটি মেসে রেখে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। বিয়ে ছাড়া আমার কোন উপায় নাই। তাই অনশনে বসেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত রিংকু ও তার পরিবার আমাকে বিয়ের আশ্বাস বা মেনে না নেবে আমি এখানেই অবস্থান করব। এদিকে অভিযুক্ত প্রেমিক রিংকু ওই নারীর অনশনের খবরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
অভিযুক্ত মেহেদী হাসান রিংকু আত্মগোপনে থাকায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান বলেন, ‘একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
আরএক্স/